MOHUN BAGAN Champion: পরপর দু'বার ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (আইএসএল) চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিরল কৃতিত্ব অর্জন করল জাতীয় ক্লাব মোহনবাগান। আইএসএল লিগ-শিল্ড মোহনবাগানের পয়েন্ট ২২ ম্যাচে ৫২। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এফসি গোয়ার পয়েন্ট ২১ ম্যাচে ৪২। তাদের হাতে তিনটি ম্যাচ আছে। প্রতিটি ম্যাচ জিতলে মেলে তিন পয়েন্ট। মোট ২৪ ম্যাচের খেলা। সে হিসেবে পরবর্তী তিনটি ম্যাচ জিতলেও এফসি গোয়ার পয়েন্ট দাঁড়াবে ৫১। ফলে, মোহনবাগান রবিবারই আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল।
রবিবার দলের হোম গ্রাউন্ড বিবেকানন্দ যুবভারতী স্টেডিয়ামে ওড়িশার মুখোমুখি হয়েছিল বাগান দল। ম্যাচের একমাত্র জয়সূচক গোলটি এসেছে ৯৩ মিনিটের মাথায়। করেছেন দিমিত্রি পেট্রতোস। তবে, ম্যাচের ফলাফল মাত্র ১-০ হলেও, এই ম্যাচে শুরু থেকেই সবক্ষেত্রে ওড়িশাকে টেক্কা দিয়ে গিয়েছেন মোহনবাগানের খেলোয়াড়রা। ওড়িশার খেলোয়াড়রা যখন বাগানের গোলমুখে ২টি শট নিয়েছেন, তখন মোহনবাগানের খেলোয়াড়রা ওড়িশার গোল লক্ষ্য করে ৯ বার আক্রমণ চালিয়েছেন।
ওড়িশার খেলোয়াড়দের চেয়ে বাগানের খেলোয়াড়দের বলদখলও অনেক বেশি ছিল। নিজেদের মধ্যে পাস খেলার সংখ্যাতেও তাঁরা ওড়িশাকে টেক্কা দিয়ে গিয়েছেন। আর, শুরু থেকে মোহনবাগানের এই আক্রমণের ঝাঁঝ ধরা পড়েছে তাঁদের নেওয়া কর্নারের সংখ্যায়। বাগানের খেলোয়াড়রা ম্যাচে মোট ১২টি কর্নার পেয়েছেন।
তবে, এত আক্রমণ করলেও কিছুতেই গোল আসছিল না। প্রিয় দলের জয়ের সাক্ষী হতে এদিন যুবভারতীতে ৬০ হাজার মোহনবাগান সমর্থক ভিড় করেছিলেন। সামনে থেকে দলের লিগ-শিল্ড জয়ের প্রত্যাশা যখন তাঁদের ধাক্কা খেতে যাচ্ছে, সেই সময় দিমিত্রি তাঁদের আশায় আলো জ্বেলে দেন। যার ফলে গতবারের মত এবারও আইএসএলের রং হয়ে ওঠে সবুজ-মেরুন। হোসে মোলিনার দল আরও একটা কারণে সুবিধা পেয়েছে। সেটা হল, ম্যাচের ৮৪ মিনিটের মাথায় ওড়িশার ডিফেন্ডার মুর্তাদা ফল লালকার্ড দেখেন। তার ফলে, এরপর থেকে ম্যাচ ১০ জনে খেলছিল ওড়িশা। আর, তারপরই বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে গোটা স্টেডিয়াম।
আরও পড়ুন- আইএসএল জয়ের দোরগোড়ায়, ওড়িশা এফসিকে হারালেই রবিবার ট্রফি মোহনবাগানের