আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গত এপ্রিলেই বুক ফুলিয়ে নিজের দেশের মিডিয়াকে বলে দিয়েছিলেন তিনি মোহনবাগানেই থাকছেন। তবে সেই কথা স্রেফ কথার কথাই হয়ে থাকল। মোহনবাগানের সঙ্গে অনুষ্ঠানিকভাবে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেল আইরিশ সুপারস্টার কার্ল ম্যাকহিউয়ের। বাগানকে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন করা তারকার সঙ্গে বোঝাপড়ার ভিত্তিতে সম্পর্ক ছিন্ন করল সবুজ মেরুন শিবির।
আইএসএল চ্যাম্পিয়ন দলের একাধিক বিদেশিকে এবার ছেড়ে দিয়েছে বাগান। স্লাভকো, তিরি, ফ্রেডরিকো গ্যালেগোরা যেমন আর সবুজ মেরুন জার্সি গায়ে চাপাবেন না, তেমন সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও একটি নাম- কার্ল ম্যাকহিউ। গত সিজনের বিদেশিদের মধ্যে ধরে রাখা হয়েছে দিমিত্রি পেত্রাতোস, ফ্লোরেন্টিন পোগবা, ব্রেন্ডন হ্যামিল, হুগো বুমোস এবং জনি কাউকোদের।
নতুন বিদেশি হিসাবে সংযোজন ঘটেছে আর্মান্দো সাদিকু, জেসন কামিন্সের। ফ্লোরেন্টিন পোগবা কলকাতা আচম্বিতে হাজির হওয়ার পরই শঙ্কা শুরু হয়েছিল সমর্থককুলে। ভাবা হয়েছিল পোগবাকে ছেড়ে দেবে বাগান। তবে গিনির জাতীয় দলের তারকার সঙ্গে ২০২৪ পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে পোগবার। গত সিজনে চোটের কারণে কার্যত খেলতেই পারেননি। পরিবর্ত হিসাবে সই করানো হয়েছিল স্লাভকো দামজানোভিচকে।
আরও পড়ুন: কামিন্সের ক্যান্সারজয়ী বন্ধুও এবার ISL-এ! বড় আপডেটে চমকে গেল ভারতীয় ফুটবল
পোগবা যতটুকু খেলেছেন, সমর্থকদের মন জয় করতে পারেননি। সেই পোগবাকে নয়, শেষমেশ বিদেশির কোটা অক্ষত রাখতে রক্ষণের অতন্দ্র প্রহরী কার্ল ম্যাকহিউকেই ছেড়ে দেওয়ার পথে হাঁটল বাগান ম্যানেজমেন্ট। জনি কাউকো চোট পেলেও তাঁকে রিলিজ করা হয়নি। বরং আনরেজিস্টার্ড ফুটবলার হিসাবে তাঁকে ধরে রাখা হচ্ছে স্কোয়াডে। আসন্ন আইএসএল-এর দ্বিতীয় পর্বে ফিট হয়ে নামতে পারেন তিনি।
কলকাতায় এসেছেন চার বছর। এর মধ্যে দু-বারই চ্যাম্পিয়ন। প্ৰথমবার এটিকের লাল-সাদা, তারপর এটিকে মোহনবাগানের সবুজ মেরুন ট্রেডমার্ক জার্সিতে। কলকাতার গণউন্মাদনা দেখেছেন। চাক্ষুস করেছেন শহরের ফুটবল প্রেম।
ভারতে আইএসএলে খেলতে আসার আগে ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে অংশ নিয়েছেন। ইংল্যান্ডের রিডিং এফসি, আয়ারল্যান্ডের প্লাইমাউথ অর্গাইল, ব্র্যাডফোর্ড সিটি, এমনকি মাদারয়েল এফসির হয়েও খেলেছেন। আয়ারল্যান্ডের জাতীয় দলের হয়ে যুব পর্যায়ে সমস্ত বয়সভিত্তিক দলে খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে ম্যাকহিউয়ের।
দীর্ঘ চার বছর ধরে কলকাতার জায়ান্টদের রক্ষণ তো বটেই প্রয়োজনে মাঝমাঠেও অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করেছেন। এবার তাঁর পরবর্তী ঠিকানা হতে চলেছে মানোলো মার্কুয়েজের এফসি গোয়ায়। বৃহস্পতিবারের পর কলকাতার সঙ্গে সত্যি নাড়ির যোগ ছিন্ন হল সুপারস্টারের।