পুজোর ঠিক আগেই শহরবাসীর জন্য় তোলা থাকে ফুটবল উৎসব।এই বছর বঙ্গবাসীর এই আমেজের তাৎপর্য আরও একটু বেশি। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের উদ্বোধনী ম্য়াচটাও হচ্ছে খোদ কলকাতাতেই। মুখোমুখি দু’বারের চ্যাম্পিয়ন অ্যাটলেটিকো দি কলকাতা ও দু’বারের রানার্স কেরল ব্লাস্টার্স। শারদীয়ার মতোই বছরে একবারই আসে ফুটবল ফেস্টিভ্য়াল। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান সমর্থকরা তখন এক হয়ে যান। তখন তাঁদের একটাই দল, এটিকে।
কলকাতার ফ্যানেদের আবেগ। ছবি পার্থ পাল।
শনিবার যুবভারতীর আশেপাশের চেহারাটাও বলে দিচ্ছে যে, রাজসূয় যজ্ঞের প্রস্তুতিতে সামিল শহর কলকাতা। শেষ পাঁচ বছরেও ছবিটা বদলায়নি। প্রিয় দলের জার্সি থেকে ব্যান্ডানা, রিস্টব্যান্ড, পতাকা, টুপি বিক্রি হচ্ছে দেদারে। সুযোগ রয়েছে তুলির টানে প্রিয় দলের রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নেওয়ার। এখানে ফুটবল শুধুই খেলা নয়, বহমান আবেগও। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এটিকে-র সমর্থকরা এলেন হাজারে হাজারে। চোখে পড়ল কেরালা ব্লাস্টার্সেরও সমর্থন।
আরও পড়ুন: ISL 2018-19 Schedule: দেখে নিন ডিসেম্বর পর্যন্ত সম্পূর্ণ সূচি
মাঠের বাইরে সমর্থকদের ভিড়। ছবি-শুভপম সাহা
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মুহূর্ত।ছবি-শুভপম সাহা।
সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়, নীতা আম্বানি ও অভিষেক বচ্চন। (বাঁ-দিক থেকে)। ছবি-পার্থ পাল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেরকম জাঁকজমক ছিল না ঠিকই। কিন্ত ঢাকের তালে শাড়ি আর ধুতি-পাঞ্জাবির মিছিলটা ছিল মনে ধরার মতো। ঘড়ির কাঁটায় মেপে ঠিক ১২ মিনিটের অনুষ্ঠানে মাঠে হাজির ছিলেন আইএমজি-রিল্যায়েন্সের চেয়ারপার্সন নীতা আম্বানি, এটিকে-র দুই মালিক সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়, সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গেই পাওয়া গেল চেন্নাইয়িন এফসি-র মালিক অভিষেক বচ্চনকেও। এদিন এসেছিলেন হিমা দাস। প্রথম ভারতীয় হিসেবে অ্যাথলেটিক্স জুনিয়র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা পাওয়া মেয়ে বলটা এগিয়ে দেন নীতাকে। ম্যাচ কিক-অফের আগে উষা উত্থুপের গলায় শোনা গেল জাতীয় সঙ্গীত।