সবুজ মেরুন জার্সি ছেড়ে এবার নাম লিখিয়েছেন বেঙ্গালুরু এফসির জার্সিতে। এটিকে মোহনবাগানের সংযুক্তির আগে-পরে দুই সময়েই প্রবীর মেরিনার্স শিবিরের যোদ্ধা ছিলেন। এবার সুনীল ছেত্রীর নেতৃত্বে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি সোদপুরের বঙ্গসন্তান।
কেরিয়ার শুরু উইঙ্গার হিসাবে। তারপর উইংব্যাক পজিশনে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন দলের প্রয়োজনে। ডান প্রান্ত থেকে ওভারল্যাপ করে বিষমাখা ক্রসে রয় কৃষ্ণের সঙ্গে প্রবীরের পার্টনারশিপ অবশ্য অতীত এটিকে মোহনবাগানে।
আরও পড়ুন: ডার্বিতে খলনায়ক! ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে বিখ্যাত স্প্যানিশ ক্লাবে ইস্টবেঙ্গলের অরিন্দম
হাবাস জমানায় এক মরশুম আগে কার্যত ব্রাত্য হয়ে গিয়েছিলেন স্কোয়াডে। কোচ ফেরান্দোর কোচিংয়ে কার্যত নবজন্ম পান এটিকের জার্সিতে জোড়া আইএসএল, মোহনবাগানের হয়ে ফেডারেশন কাপ জয়ী নায়ক।
স্পোর্টসক্রীড়ায় এক সাক্ষাৎকারে প্রবীর দাস জানিয়ে দিয়েছেন, "গত বছর করোনা আক্রান্ত হই। সেই সময়ে হয়ত হাবাস আমার পজিশনে ভালো কারোর খোঁজ পেয়েছিলেন। সংক্রমণ-মুক্ত হয়ে ট্রেনিংয়ে নিজেকে নিংড়ে দিয়েছিলাম। তবে নিজেকে ক্লিক করতে পারিনি। এবার অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করেছি। আশা করি এবার অনেক বেশি প্লেয়িং টাইম পাবো।"
আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলের অফারে সরাসরি ‘না’ ISL, I League জয়ী বাঙালি তারকার, বাঁধ ভাঙল অপেক্ষার
হাবাসের সময়ে প্ৰথম এগারোয় জায়গা হারিয়েছিলেন একটা সময়ে। সেই হাবাসকে নিয়েই এবার মুখ খুলে প্রবীর জানাচ্ছেন, "উনি কেন আমাকে খেলাচ্ছেন না, তার কারণ কোনওদিন জানতে চাইনি। আমি প্ৰথম একাদশে না খেলেই সেই সিজনে আমরা ফাইনালে পৌঁছেছিলাম। দলীয় সাফল্য কখনও একজন ব্যক্তির পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করে না। হাবাস সেই সময়ে যেটা ভালো বুঝেছিলেন, সেটাই করেছেন।"
হাবাস জমানার ব্রাত্য তারকাই পরে ফেরান্দোর কোচিংয়ে ফুল ফুটিয়েছেন। হাবাস-ফেরান্দো তুলনায় অকপট প্রবীর। বলছেন, "ফেরান্দোর সঙ্গে সকল প্লেয়ারদের সম্পর্ক দারুণ। আমার পরিশ্রম দেখে হয়ত উনি শুরুর একাদশে আমাকে ফিরিয়ে আনেন। সেই সুযোগ ভালোই কাজে লাগিয়েছি। কোনওভাবেই হুয়ানের সঙ্গে হাবাসের তুলনা করতে চাই না। দুজনেই টেকনিক্যালি নিখুঁত। খেলাকে সবসময় আগে প্রাধান্য দেন। আইএসএল ইতিহাসে হাবাস সর্বকালের সফলতম কোচ। আর গত দু মরশুম ধরে দারুণ কোচিং করছেন ফেরান্দো।"
আরও পড়ুন: ফ্লোরেন্তিনের পর নয়া চমক! পোগবার বন্ধুকে সই করাল কলকাতার এই প্রধান
ক্লাব ছাড়ার পরে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন এটিকে এমবি ম্যানেজমেন্টের দিকে। এখন অবশ্য ঝড়-ঝঞ্ঝা, সংঘাত মিটিয়ে ফেলার ইঙ্গিত দিচ্ছেন, "এটিকে মোহনবাগান কোন প্লেয়ারকে কীভাবে বিদায়ী সম্বর্ধনা জানাবে, সেটা পুরোপুরি ক্লাবের বিষয়। রক্ত, ঘাম, চোখের জল দিয়েছি।ক্লাবের জার্সিতে। প্রত্যেকবার সবুজ মেরুন জার্সি চাপানোর সময়েই সমর্থকদের ভালোবাসা আরও ভালো খেলতে উদ্দীপ্ত করে। আমি বরাবর সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে ভালোবাসি। আমার এরকম এটিটিউড অনেকেই পছন্দ করে না।"
"নিজের সম্মানের অনেকটাই ক্লাবের হয়ে খেলে অর্জিত। তাই ক্লাবের প্রতি কখনই খারাপ লাগা কাজ করবে না। প্রাথমিকভাবে এটিকে এমবি ম্যানেজমেন্টের উদ্দেশ্যে কটু কথা বললেও, এখন সমস্ত কিছুই স্বাভাবিক। কোনও সমস্যা নেই।"