ইস্টবেঙ্গলের ষষ্ঠ বিদেশি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। এশীয় কোটায় লাল-হলুদ তাঁবুতে পদার্পন করতে চলেছেন জর্ডন ও'দোহার্তি। অস্ট্রেলিয়ার এ-লিগে একাধিক ক্লাবের জার্সি গায়ে চাপানো ঘিরে সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহের খামতি নেই।
জন্মসূত্রে দোহার্তি অস্ট্রেলীয় নন। স্পেনের মায়োরকায় জন্ম। মাত্র চার বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান। যেখানে জুনিয়র পর্যায়ে কেরিয়ার শুরু ২৪ বছরের তারকার।
সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে খেলেন। ডিফেন্সিভ মিডিও হিসাবে যেমন খেলতে পারেন, তেমন আক্রমণাত্মক মিডিও হিসাবেও খেলতে পারেন তিনি। ৬ এবং ১০ উভয় পজিশনেই খেলতে পারেন জর্ডন।
আরও পড়ুন: কনস্টানটাইনের কোচিং স্টাফে এবার হাইপ্রোফাইল তারকা! ডার্বির আগেই হয়ত বড় ঘোষণা ইস্টবেঙ্গলে
অস্ট্রেলীয় ফুটবল মহলে খোঁজ নিয়ে জানা গেল মাঝমাঠে স্ন্যাচার হিসেবে চূড়ান্ত দক্ষ তিনি। বল দখলে দুর্ধর্ষ। তবে খামতি রয়েছে অন্যত্র। পাসিং এবং ডিস্ট্রিবিউশন স্কিলে সেরকম নজরকাড়া নন।
বলা হচ্ছে, ইস্টবেঙ্গলে জর্ডনের আবির্ভাব ঘটছে 'রিহ্যাব' ডেস্টিনেশন হিসাবে। ২০২০-তে এসিএল টিয়ার হয়েছিল। সেই সময়ে তিনি খেলছিলেন ওয়েস্টার্ন সিডনি ওয়ান্ডারার্সের হয়ে। সেই বছর ফেব্রুয়ারিতে পার্থ গ্লোরির বিরুদ্ধে ১-১ ড্রয়ের পরে চরম দুঃসংবাদ পেয়েছিলেন দোহার্তি। জানা যায় এসিএল টিয়ারের কারণে বাকি মরশুম থেকে ছিটকে যেতে হবে তাঁকে।
আরও পড়ুন: ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন, বাগানের প্রাক্তন তারকাকে সই ইস্টবেঙ্গলের! একসঙ্গে ৫ ফুটবলার লাল-হলুদে
সেন্ট্রাল মিডিও সেই সময় নিজের ফিরে আসা নিয়েও সংশয়ে ছিলেন। আজ বছর অস্ত্রোপচার এবং রিকভারি কাটিয়ে ফেরার পরে সিডনি মর্নিং হেরাল্ড-কে সেই সময় জানিয়ে দেন, "আমি জানতাম না একই ছন্দে পুনরায় খেলতে পারব কিনা।"
চোট সারিয়ে ফিরে আসার পরে দোহার্তি নাম লিখিয়েছিলেন নিউক্যাসেল জেটস-এ। যেখানে কোচ হিসেবে পেয়েছিলেন ভারতে কোচিং করিয়ে যাওয়া আর্থার পাপাসকে। নিউক্যাসেলের হয়ে ১৮ ম্যাচে মোট ৭৯৫ মিনিট খেলেন গত সিজনে। তবে নিজের সেরা ছন্দে একেবারেই ছিলেন না। কোনও গোল তো নেই-ই, এসিস্টের সংখ্যাও শূন্য।
অজি মিডফিল্ডার আলেক্স লিমার সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল মাঝমাঠে জুটি বাঁধবেন। ভিসার জন্য আবেদনও করে দিয়েছেন তিনি। তবে তিনি শুধুই রিকভারি গন্তব্য হিসাবে ইস্টবেঙ্গলে আসছেন, নাকি মিডফিল্ডে ফুল ফুটিয়ে সমস্ত আলোচনা বন্ধ করবেন, সেটাই এখন দেখার।