রিয়াল মাদ্রিদ তো বটেই লা লিগায় চুটিয়ে খেলেছেন বার্সেলোনার বিরুদ্ধে। গোল করে বার্সেলোনার জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন একবার। মরিসিও পচেটিনোর একসময়ের ফেভারিট সেই স্প্যানিশ তারকা সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই বছরেই খেলতে পারতেন সবুজ মেরুন জার্সিতে। তবে তা হল না। কলকাতার অফার ছেড়ে আলভারো ভাজকুয়েজ নাম লেখালেন এফসি গোয়ায়।
সপ্তাহ দুয়েক আগেও এটিকে মোহনবাগানের পরিকল্পনায় ভালমত ছিলেন স্প্যানিশ তারকা। রয় কৃষ্ণ তো বটেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ডেভিড উইলিয়ামসকে। জোড়া স্ট্রাইকারের বিকল্প হিসাবে ফেরান্দোর নজরে ছিলেন আলভারো ভাজকুয়েজ। নম্বর নাইন পজিশনে একদম সঠিক বাছাই ভাবা হচ্ছিল তাঁকে। তবে এই মুহূর্তে স্ট্রাইকার নিয়ে সবুজ মেরুন কোচের পরিকল্পনা কী, তা স্পষ্ট নয়। স্কোয়াডে ছয় বিদেশির চারজনই সেন্ট্রাল।ডিফেন্ডার। তিরি, কার্ল ম্যাকহিউ থাকা সত্ত্বেও সই করানো হয়েছে এ লিগের তারকা ব্রেন্ডন হ্যামিল, পল পোগবার দাদা ফ্লোরেন্তিনকে। নতুন স্ট্রাইকার নেওয়ার আগে একজন বিদেশিকে রিলিজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ছাঁটাই হচ্ছেন বাগানের দীর্ঘদিনের এই বিদেশি! কৃষ্ণ-উইলিয়ামসের মতই বাতিলের খাতায় সুপারস্টার
এমন দ্বিধাগ্রস্ত বাগানের তাই হাতছাড়া হল সেরার সেরা স্প্যানিশ স্ট্রাইকার। প্রাথমিকভাবে ভাজকুয়েজের কাছে অফার ছিল কলকাতায় খেলতে আসার, এটিকে মোহনবাগানের জার্সিতে। তবে শেষমেশ বাজিমাত করল এফসি গোয়া। আগামী দু বছরের চুক্তিতে ৩১ বছরের তারকা স্ট্রাইকার থাকবেন গোয়ায়।
বার্সেলোনায় জন্ম এবং ফুটবল পাঠ। কেরিয়ারের অধিকাংশ সময়ই খেলেছেন নিজের দেশের একাধিক ক্লাবে। আরডি এস্প্যানিওলের যুব দল থেকে বেড়ে ওঠা তারকার সিনিয়র পর্যায়ে আত্মপ্রকাশ করেন এই ক্লাবেরই মূল দলের হয়ে। ২০১০-এ এস্প্যানিওলের হয়েই লা লিগার টপ ডিভিশনে নজর কাড়েন। খেলেন রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: সাফ কাপ জয়ী জাতীয় দলের তারকা এবার বাগানে! ISL দলবদল জমিয়ে দিল ফেরান্দো ব্রিগেড
দু-বছর এস্প্যানিওলে কাটানোর পর ভাজকুয়েজ নাম লেখান গেটাফেতে। টানা চার বছর গেটফাতে খেলেন। এই সময়েই ইপিএলে খেলারও স্বাদ পান। লোনে এক মরশুম কাটিয়ে আসেন সোয়ানসা সিটিতে। এরপরে পুরোনো ক্লাব এস্প্যানিলে ফিরে আসেন। থাকেন ২০১৯ পর্যন্ত। এছাড়াও দ্বিতীয় ডিভিশনে রিয়েল হারাগোহা, স্পোর্টিং দে গ্রিজনের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।
আরও পড়ুন: হ্যামিলকে পাওয়ার পরই দুঃসংবাদ! ফেরান্দোর সঙ্গে ‘ঝামেলা’য় বাগান ছাড়ছেন সন্দেশ
ক্লাব কেরিয়ারে বিপুল অভিজ্ঞতা থাকা তারকার ২০১১-য় ফিফা অনুর্দ্ধ-২০ বিশ্বকাপে টপ স্কোরার হন। ২০১৩-য় উয়েফা অনুর্দ্ধ-২১ ইউরোও চ্যাম্পিয়ন হন। ৩১ বছরের তারকা স্ট্রাইকার এখনও পর্যন্ত ক্লাব এবং জাতীয় দলের হয়ে ৩৪৪ ম্যাচে ৮০ গোল করেছেন, ১৯টি এসিস্ট সমেত।
আরও পড়ুন: একদম অচেনা নয় কলকাতা! এটিকে মোহনবাগানেই রয়েছে পোগবার পুরোনো বন্ধু
গত মরশুমে কেরালা ব্লাস্টার্সের জার্সিতে আইএসএল মাতিয়ে দিয়েছিলেন। ৮ গোল করে। ২০১৬-র পর প্ৰথমবার কেরালাকে ফাইনালে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন সুপারস্টার। এমন তারকার কাছে চুক্তি বর্ধিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ব্লাস্টার্সের তরফে। তবে মরিসিও পচেট্টিনো, মিচেল লাউড্রাপ, কুইক স্যাঞ্চেজ ফ্লোরেসের প্রাক্তন ছাত্র ভাজকুয়েজ নিজেই কেরালায় থাকতে আগ্রহী হননি। এমনটাই খবর। আলভারোর আগমনে এফসি গোয়ার আক্রমণ যে আরও শক্তিশালী হল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।