রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বদলে তাঁকে প্রথম একাদশে রাখায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। গাভাসকার তো সরাসরি বলে দিয়েছিলেন, অশ্বিনকে বাইরে রাখার সিদ্ধান্তের কোনও যুক্তিই নেই। তবে রবীন্দ্র জাদেজা বুঝিয়ে দিলেন, তিনি বিদেশের পিচেও টেস্টে কার্যকরী হতে পারেন। বল নয়, ব্যাট হাতেও। প্রথম ইনিংসে অজিঙ্কা রাহানের ব্যাটে ভর প্রাথমিক শঙ্কার গণ্ডি পেরিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। তবে শেষ দিকে ভারতকে প্রায় তিনশো পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার কৃতিত্ব অনেকটাই জাদেজার প্রাপ্য। লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে জাদেজার ৫৮ রানের ইনিংস প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে সমালোচকদের।
তারপরেই জাদেজা সরাসরি বলে দিয়েছেন, "পারফর্ম করার জন্য অতিরিক্ত কোনও চাপ ছিল না। তবে অধিনায়কের যখন আস্থা অর্জন করা যায়, দলের কার্যকরী তালিকায় রাখা হয় তখন এমনিতেই ভাল লাগে। স্বয়ং অধিনায়ক আমার উপরে ভরসা রাখছেন। এই বিষয়টাই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। সৌভাগ্যবশত, ভাল খেলে অধিনায়কের আস্থার পূর্ণ মর্যাদা দিতে পেরেছি। ভবিষ্যতেও এরকম পারফর্ম করার চেষ্টা করে যাব।"
প্রথম একাদশে কোহলি প্রত্যেককে চমকে দিয়েছিলেন। কুলদীপ কিংবা অশ্বিনের মতো তারকা স্পিনারকে বাইরে রেখে জাদেজাকে প্রথম একাদশে রেখেছিলেন। তা নিয়েই সৌরভ, গাভাসকারের মতো প্রাক্তন তারকারা এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন। তবে জাদেজার ১১২ বলে ৫৮ রানের সৌজন্যে ভারত এই মুহূর্তে যথেষ্ট ভাল পজিশনে। ইশান্ত শর্মার সঙ্গে জুটিতে ৬০ রান যোগও করেন। দ্বিতীয় দিনের শেষেই ভারত প্রথম টেস্টের চালকের আসনে।
জাদেজার নিজের ব্য়াটে সাফল্যের রহস্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জানিয়েছেন, "ব্যাট করার সময় পার্টনারশিপ তৈরি করার দিকে ফোকাস ছিল। ইশান্ত, শামি, ভুবনেশ্বরদের মতো টেল এন্ডারদের নিয়ে ক্রিজে যথাসম্ভব থাকার চেষ্টা করছিলাম।" পাশাপাশি জাদেজা আরও জানিয়েছেন, "নিজের খেলায় যতটা পারি ফোকাস করতে চাইছিলাম। মাঠের বাইরে কী হচ্ছে কিংবা বাকিরা কী ভাবছে, তা নিয়ে মোটেই চিন্তিত ছিলাম না। কেবল নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টায় ছিলাম।"
ব্য়াটে গুরুত্বপূর্ণ হাফসেঞ্চুরি করার পাশাপাশি বল হাতেও একটি উইকেট তুলে নিয়েছেন জাদেজা। তবে জাদেজা নিজের ব্য়াটিং নিয়েই আপাতত আলোচনায় থাকতে চাইছেন। টিম ইন্ডিয়ার জাড্ডু বলছিলেন, "ক্রিজে সদর্থক মানসিকতা নিয়ে ব্যাটিং করছিলাম। ঋষভ আউট হয়ে যাওয়ার পরে ইশান্তকে পার্টনারশিপ গড়ার জন্য বলেছিলাম। সৌভাগ্যক্রমে ৫০ প্লাস রানের পার্টনারশিপ আমরা করেছিলাম। ক্রমাগত ইশান্তের সঙ্গে কথা বলছিলাম, যাতে আমরা যত বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারি। টেস্ট ক্রিকেটে প্রতিপক্ষ বোলারদের বিরুদ্ধে যদি দলের ৮,৯ এবং ১০ নম্বর ব্যাটসম্যান রান করে, তাহলে বোলাররা রীতিমতো বিরক্ত হয়ে যায়। এটা তাঁদের কাছে মোটেই ভাল লাগে না। এটাই ছিল আপাতত গেমপ্ল্যান।"
Read the full article in ENGLISH