অবসর ভেঙে খেলায় ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করে হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থাকে চিঠি লিখেছিলেন। এইচসিএ কর্তাদের তরফ থেকে সদ্বর্থক বার্তা পাওয়ার পরে আম্বাতি রায়ডু বাইশ গজে ব্যাট হাতে লড়াইয়ের প্রত্যাবর্তনে তৈরি হচ্ছেন। তারপরেই নিজের সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে রায়ডু বলে দেন, তাঁর ক্রিকেটে ফেরা মোটই ইউ-টার্ন নেওয়া হয়। তেলেঙ্গানা টুডে-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাতীয় দলের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান বলে দেন, "কানাডা এবং অন্যান্য দেশে টি-১০ এবং টি-২০ টুর্নামেন্টে খেলার লোভনীয় প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি। আমার শুভানুধ্যায়ীদের কথায় অবসর ভেঙে ফিরে এসেছে।"
এর পরে রায়ডু আরও বলেছেন, "এটা মোটেই ইউ-টার্ন নয়। মনে হয়, এখনও আমার মধ্যে পর্যাপ্ত ক্রিকেট বেঁচে রয়েছে। আপাতত হায়দরাবাদের হয়ে অনেক রান করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছি।" গত সপ্তাহেই ক্রিকেটে ফেরার কথা জানিয়েছিলেন হায়দরাবাদের তারকা ক্রিকেটার। নিজের আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি চেন্নাই সুপার কিংস, ভিভিএস লক্ষ্মণ, এবং হায়দরাবাদ নির্বাচক কমিটির প্রধান নোয়েল ডেভিসকে প্রত্যাবর্তনের জন্য ধন্য়বাদ জানিয়েছিলেন।
রায়ডু সাক্ষাৎকারে হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার বিষয়ে জানিয়েছেন, "ক্রিকেটারদের উপরে অযথা চাপ তৈরি করা চলবে না। সেরা দলকে নামাতে হবে। আমার মনে হয়, অনেক ক্রিকেটার রয়েছে, যারা চাপের মধ্যে খেলছে। কোনও সংস্থার অন্দরে বিবাদ মোটেই ক্রিকেটের পক্ষে ভাল নয়। দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি, হায়দরাবাদ দলের জায়গা পয়সা দিয়ে কিনতে পাওয়া যায়। দলে পারফর্ম করা জায়গা পাওয়া উচিত ক্রিকেটারদের।"
বিশ্বকাপের সময়ে প্রাথমিক দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল আম্বাতি রায়ডুকে। বদলে নেওয়া হয়েছিল বিজয়শঙ্করকে। অম্বাতি রায়ডুকে পরে স্ট্যান্ড বাই হিসেবে রাখা হলেও, ধাওয়ান চোট পাওয়ার পরে পন্থকে রাতারাতি উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিমানে অবসরই নিয়ে ফেলেছিলেন রায়ডু। বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়ার পরে প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদকে থ্রি-ডি গ্লাস টুইটে কটাক্ষও করেছিলেন।
জাতীয় দলের জার্সিতে ৫০টি ওয়ান ডে ম্যাচে অংশ নিয়ে ৪৭.০৫ গড়ে ১৬৯৪ রান করেছেন তিনি। এর মধ্যে তিনটে শতরান সহ ১০টা অর্ধশতরানও করেছেন তিনি।
Read the full article in ENGLISH