চলতি সপ্তাহের শুরুতেই টিম ইন্ডিয়ার জন্য পুরো সাপোর্ট স্টাফের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে। কোচ এবং সহকারী সহ মোট সাতজনের জন্য আবেদন চাওয়া হয়েছে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে। সপ্তাহ গড়াতে না গড়াতেই বোর্ডের অন্দরমহলে নাম উঠে এসেছে জে অরুণ কুমারের। ব্যাটিং কোচ হিসেবে তিনি আপাতত বোর্ডের পছন্দের শুরুতেই রয়েছেন। সঞ্জয় বাঙ্গারের পরিবর্ত হিসেবে ফেভারিট তিনি-ই।
কর্ণাটকের প্রাক্তন ওপেনার অরুণ রাজ্য দলের কোচ হিসেবে রনজি ট্রফি, বিজয় হাজারে এবং ইরানি কাপ জিতেছিলেন পরপর দু-বছরে। ২০১৩-১৪ এবং ২০১৪-১৫ মরশুমে উপর্যুপরি ট্রেবল জয়ের কারিগর ছিলেন।
জানা গিয়েছে, তিনি ইতিমধ্যেই বোর্ডের কাছে ব্যাটিং কোচের পদে আবেদন করেছেন। শুধু কোচ হিসেবেই নয়, ক্রিকেটার হিসেবেও বেশ ঝকঝকে পারফরম্যান্স অরুনের। ৪৪ বছরের এই কর্ণাটকী কোচ ঘরোয়া ক্রিকেটে ১০ হাজারেরও বেশি রান করেছেন। ১৯৯৬, ১৯৯৮ এবং ১৯৯৯ সালে রনজি ট্রফিজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন ধোনির উত্তরসূরির সঙ্গে রাত জেগে বার্থ ডে পার্টি! ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিতর্ক তুঙ্গে
অবসর নিয়ে বড় ঘোষণা ধোনির! বোর্ডকে জানিয়ে দিলেন নিজের ইচ্ছা
অবসর নিয়ে বড় ঘোষণা ধোনির! বোর্ডকে জানিয়ে দিলেন নিজের ইচ্ছা
করুণ নায়ার, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, শ্রেয়স গোপাল, আর সমার্থের মতো তারকাদের জাতীয় স্তরে পরিচিতি দেওয়ার নেপথ্যেও তিনি। রাজ্য় দলের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি আইপিএলেও কোচ হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ২০১৭-র আইপিএলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের সহকারী কোচ ছিলেন তিনি। ২০১৭-১৮ মরশুমে হায়দরাবাদের কোচ ছিলেন।
বর্তমানে পণ্ডিচেরির প্রধান কোচ তিনি। কোচিং অভিজ্ঞতায় ভরপুর হলেও তিনি একটি ক্ষেত্রেই আটকে যেতে পারেন, তা হল, বোর্ডের কোচিং শংসাপত্রের ক্যাটিগোরিতে। বোর্ডের যোগ্যতামান অনুযায়ী, সিনিয়র দলের ব্য়াটিং কোচ হওয়ার জন্য বিসিসিআইয়ের লেভেল থ্রি পর্যায়ের কোচিং শংসাপত্র প্রয়োজন। যদিও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে লেভেল টু পর্যায়ভুক্ত কোচিং সার্টিফিকেট।
যাইহোক, ৩০ তারিখ পর্যন্ত আবেদন জমা নেওয়া হবে। তারপরেই হেড কোচ বাছার দায়িত্ব কপিল দেবের নেতৃত্বাধীন অ্যাডভাইসারি কমিটি-র। বাকি কোচিং স্টাফ বেছে নেবেন বোর্ডের সিইও রাহুল জহুরি।