সদ্য়সমাপ্ত আইপিএলেও জসপ্রীত বুমরা ফের প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, ডেথওভারে তাঁর বলে হিট করা কঠিনই নয়, এককথায় অসম্ভব। রবিবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধেও বুমরা ডেথওভারে আগুন জ্বালিয়েছেন। অ্যাড্রিনালিন রাশের রাতেও বুমরা বুঝিয়ে দিলেন যে, তিনি শুধু একজন বিশ্বমানের ফাস্টবোলারই নন, তাঁর স্পোর্টিং স্পিরিটও বাইশ গজে শিক্ষণীয়। তিনিই এই তরুণ ক্রিকেটারদের আদর্শ।
চেন্নাইয়ের যখন ১২ বলে ১৮ প্রয়োজন তখন রোহিত প্রত্যাশা মতোই বল তুলে দিয়েছিলেন বুমরাকে। বুমরার প্রথম বলে ওয়াটসন এক রান দিয়ে ডোয়েন ব্র্যাভোকে স্ট্রাইক দেন। ব্র্যাভো লেন্থ বলে ক্যাচ আউট হয়ে যান উইকেটকিপার কুইন্টন ডি ককের হাতে। এরপর বুমরা তৃতীয় ও পঞ্চম বলে দু'রান করে হজন করেন। চতুর্থ বলে কোন রান আসেনি। কিন্তু তাঁর শেষ বলে রবীন্দ্র জাদেজা মিস করতেই বল চলে যায় ডিককের হাতে। অন্য আর যে কোনও ম্যাচ হলে ডিকক অনায়াসে সেই বল গ্রিপ করে নিতে পারতেন। কিন্তু চূড়ান্ত চাপের বশে ডিককের মতো উইকেটকিপারের বল গ্লাভসে লেগে বাই চার হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ধোনি কি আদৌ রানআউট ছিলেন? এই প্রশ্নেই অগ্নিগর্ভ সোশাল
বুমরার জায়গায় অন্য় যে কোনও বোলার থাকলেই হয়তো উইকেটকিপারের ওপর ক্ষোভ উগরে দিতেন বা রাগে ফেটে পড়তেন। কিন্তু বুমরা এখানেই বাকিদের থেকে আলাদা। তিনি হতাশ হলেন ঠিকই। কিন্তু বুঝতে পেরেছিলেন যে, ডিকক চাপের মধ্যেই এই ভুল করে ফেলেছেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ডি ককের কাছে গিয়ে তাঁর কাঁধের ওপর হাত রাখলেন। হাসি মুখেই কিছু কথা বললেন, ডিককে বুঝিয়ে দিলেন খেলায় এরকমটা হতেই পারে।
আর এই ঘটনার পর টুইট করলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের সহকারি কোচ মহম্মদ কাইফ। বাদ গেলেন না ধারাভাষ্য়কার হর্ষ ভোগলে ও স্পোর্টস সঞ্চালক গৌরব কাপুরও। প্রত্যেকেই বুমরার মানসিকতায় মুগ্ধ হয়ে গেলেন।