BCCI 1 crore financial aid to Anshuman Gaekwad cancer treatment: জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং কোচ অংশুমান গায়কোয়াডের ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য বোর্ডকে ১ কোটি টাকা অর্থ সাহায্যের নির্দেশ দিলেন সচিব জয় শাহ।
বিসিসিআইয়ের এপেক্স কাউন্সিলের সূত্র অনুযায়ী, গায়কোয়াডের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন জয় শাহ। তারপরেই সমর্থনের হাত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালে অংশুমান গায়কোয়াড ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা করছেন।
বোর্ডের এপেক্স কাউন্সিল জানিয়েছে, "সঙ্কটের মুহূর্তে গায়কোয়াডের পরিবারের পাশেই রয়েছে বিসিসিআই। মিস্টার গায়কোয়াডের দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য যা যা করণীয়, সবই বন্দোবস্ত করবে বোর্ড। বোর্ডের তরফে ওঁর চিকিৎসার অগ্রগতি নজরে রাখা হবে। উনি যে আরও ভাবভাবে এই পর্ব অতিক্রম করবেন, সেই বিষয়েও আমরা আত্মবিশ্বাসী।"
গত মাসে টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপে বিশ্বজয়ী ভারতীয় দলের জন্য ১২৫ কোটি পুরস্কার মূল্য ঘোষণা করার পরেই একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটার অংশুমান গায়কোয়াডের অসুখের জন্য বোর্ডের সাহায্য প্রার্থনা করেছিলেন। জাতীয় দলের প্রাক্তন তারকা সন্দীপ পাতিল বোর্ডের কাছে অনুরোধ করেন সরাসরি।
আরও পড়ুন: ‘ইচ্ছা করে’ যশস্বীকে শতরানে বাধা! সিরিজ জয়ের মঞ্চেই চরম ধিকৃত ‘স্বার্থপর’, ‘হিংসুটে’ গিল
সংবাদমাধ্যমকে সন্দীপ পাটিল বলেছেন, "অংশু আমাকে বলেছিল যে ওঁর চিকিৎসার জন্য অর্থের প্রয়োজন। তারপরই দিলীপ বেঙ্গসরকার এবং আমি বিসিসিআই কোষাধ্যক্ষ আশিস শেলারের সঙ্গে কথা বলি। লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালে অংশুকে দেখে আসার পর আমরা আশিস শেলারকে ফোন করেছিলাম। শেলার তখনই বলেছিলেন যে তিনি অনুরোধটি বিবেচনা করবেন। এই অর্থটা পেলে অংশুর জীবন রক্ষা পাবে। সব দেশের বোর্ডেরই ক্রিকেটারদের সাহায্য করা উচিত। আর, এক্ষেত্রে অংশুর ব্যাপারটা অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।'
সন্দীপ পাটিল এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, "ও অনেক আগে ক্রিকেট খেলত। কিন্তু, ওঁর কোচিংয়ে থাকা ভারতীয় দলের খেলোয়াড়দের দ্বারা বর্তমান ক্রিকেটাররা অনুপ্রাণিত। আমি কোনও পরিসংখ্যানের কথা বলছি না। কিন্তু, আমার মনে হয় অংশুর কোচিংয়ে থাকা শচীন তেন্ডুলকার অন্যতম আইকন। আমি একথাও বলছি না যে অংশুই শচীনকে তৈরি করেছে। কিন্তু, তারপরও ও শচীনের কোচ ছিল।"
১৯৭৫ থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে ১২ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন অংশুমান গায়কোয়াড়। ভারতের হয়ে ৪০টি টেস্ট এবং ১৫টি ওয়ানডে খেলেছেন। গায়কোয়াড় দুটি মেয়াদে ভারতের প্রধান কোচ ছিলেন। প্রথমবার ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত। তারপরে ২০০০ সালে। তাঁর প্রথম মেয়াদে ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন শচীন তেন্ডুলকার। আর, দ্বিতীয় মেয়াদটি ছিল ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারির পর। গায়কোয়াড়ের প্রথম মেয়াদে অনিল কুম্বলে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়ে সিরিজে সমতা আনেন। ভারতও একটি হোম সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারায়।
নিউজিল্যান্ডে তাঁর মেয়াদে একটি ওডিআই সিরিজ ড্র করেছিল ভারত। তাঁর সংক্ষিপ্ত দ্বিতীয় মেয়াদে, গায়কোয়াড়ের কোচিংয়ে থাকা ভারত আইসিসি নকআউটের ফাইনালেও পৌঁছয়।