করছেনটা কী জোফ্রা আর্চার! তিনিই ধীরে ধীরে এই যুগের শ্রেষ্ঠ ভবিষ্য়তদ্রষ্টা হয়ে উঠছেন। বহু বছর আগে তাঁর বলা কথাই মিলে যাচ্ছে একের পর এক। তাঁর ভবিষ্য়দ্বাণী বিফলে যাচ্ছে না। এমনটাই মনে করছেন নেটিজেনরা। তাঁদের মতো ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ী আর্চার শুধুই একজন বিশ্বমানের বোলার নন, তিনি 'বাবা' আর্চার। যদিও পুরোটাই ঘটছে মজার ছলে। এখানে আর্চারের সরাসরি কোনও ভূমিকাই নেই। তাঁর নাম ব্য়বহার করেই প্রচুর টুইট করা হচ্ছে বিভিন্ন হ্য়ান্ডেল থেকে।
কয়েক বছর আগে পৃথ্বী শ-কে নিয়ে তিনি লিখেছিলেন "আনলাকি শ''। ঘটনাচক্রে বিশ্বকাপের পরে পরেই পৃথ্বীর নির্বাসনের খরব সামনে আসে। শ'র টুইটটি মিলে যাওয়ার পর থেকেই নেটিজেনরাই তাঁর নাম ব্য়বহার করেই একাধিক টুইটার হ্য়ান্ডেল তৈরি করে টুইট করছেন। যা মিম হিসেবেও সোশাল মিডিয়ায় ঝড় তুলে দিয়েছে।
গতকালই জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। আর্চারের নাম ব্য়বহার করে একটি টুইটার হ্য়ান্ডেল থেকে লেখা হয়েছে, "এমনকী ৩৭০ এখন আর নিরাপদ নয়।" ২০১৪ সালেই এই টুইট বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও আর্চার ৩৭০ নিয়ে নিজে কোনও টুইট করেননি আর্চার।
আরও পড়ুন: ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের প্রতিবাদ আফ্রিদির, পাল্টা দিলেন গম্ভীর
বিশ্বকাপ ফাইনালের রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচের সময়ও আর্চারের বেশ কিছু পুরনো টুইট ব্য়বহার করেছিল আইসিসি। কাকতালীয় ভাবে ম্য়াচের সঙ্গে মিলে যাচ্ছিল তাঁর টুইট। এরপর থেকেই আর্চারকে নিয়ে টুইটারে একটা মাতামাতি শুরু হয়ে যায়। যে কোনও প্রান্তে ঘটা যে কোনও ঘটনার সঙ্গেই মানুষজন তাঁকে জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।