টিম ইন্ডিয়ার চূড়ান্ত কোচ বেছে নিতে শুক্রবারেই মুম্বইয়ে বিসিসিআইয়ের হেড কোয়ার্টার্সে পৌঁছলেন কপিল দেবের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট অ্যাডভাইসারি কমিটির সদস্যরা। শুক্রবার রাতেই সম্ভবত হেড কোচের নাম ঘোষণা করে ফেলবে বোর্ড। জাতীয় দলের বর্তমান কোচ রবি শাস্ত্রী পুনরায় নিযুক্ত হওয়ার বিষয়ে ফেভারিট। শাস্ত্রী ছাড়াও কোচ হওয়ার লড়াইয়ে রয়েছেন প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান এবং শ্রীলঙ্কান হেড কোচ টম মুডি, নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন কোচ ও আইপিএলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের কোচ মাইক হেসন।
চলতি সপ্তাহেই ছয়জন কোচের নাম শর্টলিস্ট করে ফেলা হয়েছিল। শাস্ত্রী, হেসন এবং টম মুডি ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছেন ২০০৭ সালে টি টোয়েন্টিতে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী কোচ লালচাঁদ রাজপুত, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল সিমন্স এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কোচিং স্কোয়াডে থাকা রবিন সিং।
বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ার পরে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স-দের তরফেই গড়া হয়েছিল অ্যাডভাইসারি কমিটি। কোচ বাছাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কপিল দেব, অংশুমান গায়কোয়াড়দের। শুক্রবারেই শর্ট লিস্টেড কোচেদের ইন্টারভিউ নেবেন তিন সদস্যের ক্রিকেট পরামর্শক কমিটি।
আরও পড়ুন কে হবেন বিরাটদের পরবর্তী হেড কোচ? বিসিসিআই দিল ছ’জনের তালিকা
এর আগে অবশ্য একাধিকবার বোর্ডের তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, কোচের পদে বসার বিষয়ে ফেভারিট সেই শাস্ত্রী। বিরাট কোহলিও প্রকাশ্যে রবি শাস্ত্রীর হয়ে সওয়াল করেছিলেন। কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল, ২০১৭ সালে কোচ হিসেবে প্রত্যাবর্তনের পরে শাস্ত্রীর পারফরম্যান্স। তাঁর কোচিংয়েই প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারত টেস্ট সিরিজ জয় সম্পন্ন করেছে। ২০১৭ সালে অনিল কুম্বলের পরে শাস্ত্রী পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পরে ভারত ২১টা টেস্ট খেলেছে। এর মধ্যে ১৩টিতেই জিতেছে ভারত। জয়ের শতকরা হার ৫২.৩৮ শতাংশ।
টি টোয়েন্টিতে রেকর্ডও ঈর্ষণীয়। ৩৬টি ম্যাচের মধ্যে ২৫টিতেই ভারত জিতেছে। জয়ের শতাংশ ৬৯.৪৪। ওয়ান ডে-র পারফরম্যান্স ছাপিয়ে গিয়েছে বাকি দুই ফর্ম্যাটের সাফল্যকেও। ৬০টা ম্যাচের মধ্যে কোহলিরা জিতেছেন ৪৩টি ম্যাচ। জয়ের শতকরা হার ৭১.৬৭।
এই সাফল্যের পরিসংখ্যানের জোরে শাস্ত্রী ফের একবার কোচ হয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।