সোমবার ভারতের কিংবদন্তী অল-রাউন্ডার তথা বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক কপিল দেব নতুন করে সন্দেহ জাগিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মহেন্দ্র সিং ধোনির ভবিষ্যৎ নিয়ে। এতদিন না খেললে "কোনও পর্যায় থেকেই ফিরে আসা যায় না", এমনটাই মত তাঁর।
ধোনির নেতৃত্বে দুটি বিশ্বকাপ এসেছে ভারতের ঘরে, তবে ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের হারের পর থেকে আর ময়দানে নামেন নি 'মাহি'। গত মাসে তাঁকে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড বা বিসিসিআই-এর কেন্দ্রীয়ভাবে চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের তালিকা থেকেও বাদ দেওয়া হয়।
এবিপি নিউজ-কে কপিল বলেন, "এতদিন কেউ ক্রিকেট না খেললে কোনও পর্যায় থেকেই ফেরত আসা সম্ভব বলে আমার মনে হয় না।"
কপিল আরও বলেছেন যে আসন্ন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ বা আইপিএল-এ ধোনি কেমন ফর্মে থাকেন, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। "... এখনও আইপিএল আছে, সেখানে ওঁর ফর্মটা জরুরি, এবং নির্বাচকদের উচিত, দেশের স্বার্থ দেখা," বলেন কপিল। "ধোনি দেশকে অনেক কিছু দিয়েছেন, কিন্তু ছ-সাত মাস মাঠের বাইরে থাকলে অনেকের মনেই সন্দেহ জাগে। এবং তা থেকে এমন কিছু আলোচনা উঠে আসে, যেগুলি না আসাই বাঞ্ছনীয়।"
আরও পড়ুন: আলোচনা ছাড়াই আমাকে বাদ দিয়েছিল ধোনি, বিস্ফোরক শেওয়াগের তোপে মাহি
দীর্ঘদিন ধরে ক্রিকেট খেলেন নি তিনি, সুতরাং কেন্দ্রীয়ভাবে চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের তালিকা থেকে যে নাম বাদ যাবে ৩৮ বছর বয়সী ধোনির, তা অপ্রত্যাশিত ছিল না। ভারতীয় দলের হেড কোচ রবি শাস্ত্রী এর আগে বলেছিলেন যে ধোনি তাঁর একদিনের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের ওপর শিগগিরি ইতি টানতেও পারেন, তবে আইপিএল-এ ভালো খেললে টি-২০ বিশ্বকাপে দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার দাবিদার হয়ে উঠতে পারেন।
বিশ্বকাপের পর থেকে ভারতের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে, এবং ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া, এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে খেলেন নি ধোনি।
ভারতীয় ক্রিকেটের অবিসংবাদিত সুপারস্টারের নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০০৭ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ এবং দেশের মাটিতে ২০১১ সালের একদিনের আন্তর্জাতিক বিশ্বকাপ জেতে ভারত। মোট ৯০টি টেস্ট, ৩৫০টি একদিনের ম্যাচ এবং ৯৮টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন ধোনি। তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে তাঁর ব্যক্তিগত রান ১৭,০০০ এর বেশি, এবং অবিশ্বাস্য মনে হলেও উইকেটের পিছনে তাঁর শিকারের সংখ্যা ৮২৯।