বিজয় হাজারে ট্রফির পর এবার সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি। ঘরোয়া ক্রিকেটে ডাবল দেখল কর্ণাটক। রবিবার রুদ্ধশ্বাস ফাইনালের শেষ ওভারে তামিলনাড়ুকে ১ রানে হারিয়ে পরপর দু'বছর সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি জিতল মণীশ পাণ্ডে অ্যান্ড কোং। ঠিক যেন বিজয় হাজারে ট্রফিরই রিক্য়াপ হলো এদিন।
সুরাটের লালাভাই কনট্রাক্টর স্টেডিয়ামে দীনেশ কার্তিকের তামিলনাড়ু টস জিতে কর্ণাটককে ব্য়াট করতে পাাঠান। ক্য়াপ্টেন মণীশ ব্য়াট হাতে জ্বলে ওঠেন। চারটি চার ও জোড়া ছক্কার সৌজন্য়ে ৪৫ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। মণীশ ছাড়়াও রোহন কদমের ব্য়াট থেকে আসে ২৮ বলে ৩৫। মণীশ-রোহনের সৌজন্য়ে কর্ণাটক নির্ধারিত ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান তোলে। তামিলনাড়ুর হয়ে জোড়া উইকেট পান রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও মুরুগান অশ্বিন।
আরও পড়ুন-কেপিএল গড়াপেটা নিয়ে মুখ খুললেন সৌরভ
এই রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল করেছিল তামিলনাড়ু। দুই ওপেনার শাহরুখ খান (১৬) ও হরি নিশান্ত (১৪) ৩৭ রানে ফেরেন। এরপর ওয়াশিংটন সুন্দর (২৪) ও দীনেশ কার্তিকও (২০) দ্রুত ফিরে যান। বাবা অপরাজিত (৪০) ও বিজয় শঙ্কর (৪৪) লড়াইটা চালিয়ে যান।
রুদ্ধশ্বাস শেষ ওভারের ভিডিও
শেষ ওভারে ম্য়াচ জেতার জন্য় কর্ণাটকের ১৩ রান প্রয়োজন ছিল। ক্রিজে ছিলে বিজয় শঙ্কর ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। মণীশ পাণ্ডে বল তুলে দিয়েছিলেন কৃষ্ণাপ্পা গোথাম। তাঁর পরপর দু'বলে দু'টো চার মারেন অশ্বিন। তামিলনাড়ুর জয়ের জন্য় তখন দুই বলে চার রান বাকি ছিল। এরকম সময় গোথামের বলে উইকেট দিয়ে বসেন শঙ্কর। এরপর রান আর বলের খেলায় দুলতে থাকে ফাইনালের ভাগ্য়। তামিলনাড়ুর শেষ বলে জয়ের জন্য় প্রয়োজন ছিল তিন রান। কিন্তু অশ্বিন এক রান নিতেই সমর্থ হন। তিনি চেষ্টা করেছিলেন খেলাটা সুপার ওভারে নিয়ে যেতে। কিন্তু পারেননি।