আম্পায়ারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার। তাই শাস্তি পেতে হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা অলরাউন্ডার কায়রণ পোলার্ডের। ম্যাচ ফি-র ২০ শতাংশ কেটে নেওয়ার পাশাপাশি ১ পয়েন্ট ডিমেরিট হিসেবেও যুক্ত হয়েছে পোলার্ডের প্রোফাইলে। আইসিসি মঙ্গলবারেই স্পষ্ট করে দিয়েছে, পোলার্ডের ব্যবহার আইসিসি-র কোড অফ কন্ড্যাক্টের নিয়ম ভঙ্গ করেছে। তাই আইসিসি-র জানিয়ে দিয়েছে পোলার্জের শাস্তির বিষয়টি।
কী ঘটেছিল? আম্পায়ারের কথায় কর্ণপাত না করে একাধিকবার শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। পরিবর্ত ক্রিকেটারকে মাঠে নেমে আসতে বলছিলেন পোলার্ড। তবে আম্পায়ার তাঁকে একাধিকবার সতর্ক করেছিল পরিবর্ত ক্রিকেটার নামানোর আগে আম্পায়ারদের সরকারিভাবে অনুরোধ করতে হয়, প্রোটোকল মেনে। সেকথায় কান না দিয়েই পরিবর্ত ফিল্ডার নামাচ্ছিলেন পোলার্ড। পাশাপাশি, আম্পায়াররা জানিয়েছিলেন, পুরো ওভার খতম না হওয়া পর্যন্ত পরিবর্ত ক্রিকেটার নামতে পারবেন না। সেকথাও শোনেননি পোলার্ড। সেকথায় কর্ণপাত না করাতেই শাস্তি।
আরও পড়ুন
অনফিল্ড আম্পায়ার নাইজেল দুগুইড এবং গ্রেগরি ব্রেথওয়েট, তৃতীয় আম্পায়ার লেসলি রেইফার এবং ফোর্থ অফিসিয়াল প্যাট্রিক গুসতার্দ পোলার্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান ম্যাচ রেফারিকে। তারপরেই শাস্তি। তৃতীয় টি টোয়েন্টিতে খেলতে নামার আগেই।
আইসিসি-র নিয়ম অনুযায়ী, ২৪ মাস সময়সীমার মধ্যে একজন ক্রিকেটার চার বা তাঁর অধিক ডিমেরিট পয়েন্ট অর্জন করলে তাঁকে নিষিদ্ধ পয়েন্টের তালিকাভুক্ত করা হয়। দুটো সাসপেনশন পয়েন্টের অর্থ একটি টেস্ট, অথবা দুটো টি টোয়েন্টি বা ওয়ান ডে ম্যাচে সাসপেন্ড করা হয়। ক্রিকেটের ফর্ম্যাট নির্ধারিত হয় সামনের ক্রিকেট সূচির উপরে।
প্রথম টি টোয়েন্টি ম্যাচে একইভাবে ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত হয়েছিল প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলতে নামা নভদীপ সাইনির প্রোফাইলে। তারপরে এবার পোলার্ড।