Kirsty Coventry Becomes First Woman and African President of the IOC: জিম্বাবুয়ের (ZimBABWE) কিংবদন্তি অলিম্পিয়ান কির্স্টি কোভেন্ট্রি (কার্স্টি লেই কভেন্ট্রি সিওয়ার্ড) আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (international Olympic Committee (IOC) নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ৯৭টি ভোটের মধ্যে ৪৯টি পেয়ে এই দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি প্রথম মহিলা (Women) এবং প্রথম আফ্রিকান হিসেবে অলিম্পিক (Olympics) কমিটির শীর্ষ আসনে বসলেন। যা তাঁকে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে দিল।
কোভেন্ট্রি একজন বিখ্যাত সাঁতারু। আফ্রিকার সবচেয়ে সফল অলিম্পিয়ান হিসেবে পরিচিত। তিনি ২০০৪ ও ২০০৮ অলিম্পিকে ২০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন এবং তাঁর কেরিয়ারে মোট ৭টি অলিম্পিক পদক পেয়েছেন। ২০১৬ সালে অলিম্পিক থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি ক্রীড়া প্রশাসনে যুক্ত হন এবং আইওসির গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কোভেন্ট্রির নেতৃত্ব অলিম্পিক আন্দোলনকে এক নতুন যুগে প্রবেশ করালো। যেখানে বৈচিত্র্য, অন্তর্ভুক্তি এবং আধুনিকীকরণের ওপর জোর দেওয়াকেই লক্ষ্য হিসেবে বেছে নেবে আগামী বিশ্ব।
ক্রীড়াক্ষেত্রে কির্স্টি কোভেন্ট্রির সাফল্য:
৫ বারের অলিম্পিয়ান: সিডনি ২০০০, এথেন্স ২০০৪, বেইজিং ২০০৮, লন্ডন ২০১২, রিও ২০১৬
৭টি অলিম্পিক পদক: ২টি স্বর্ণ, ৪টি রৌপ্য, ১টি ব্রোঞ্জ জিতেছেন
একাধিক বিশ্বরেকর্ড
কির্স্টি কোভেন্ট্রির আইওসি অভিজ্ঞতা:
- আইওসি সদস্য (২০১৩ থেকে বর্তমান)
- আইওসি এক্সিকিউটিভ বোর্ড সদস্য (২০১৮-২০২১, ২০২৩-বর্তমান)
- অ্যাথলেট কমিশনের চেয়ারপারসন (২০১৮-২০২১)
- ব্রিসবেন ২০৩২ অলিম্পিক গেমসের সমন্বয় কমিশনের চেয়ারপারসন (২০২১-বর্তমান)
- ডাকারের যুব অলিম্পিক ২০২৬ সমন্বয় কমিশনের চেয়ারপারসন (২০১৮-বর্তমান)
কভেন্ট্রি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে জিম্বাবুয়ে মন্ত্রিসভায় যুব, ক্রীড়া, শিল্প ও বিনোদন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। জিম্বাবুয়ের হারারেতে জন্ম নেওয়া এই আফ্রিকার প্রতিনিধি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামার অবার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন। জিম্বাবুয়ে অলিম্পিক কমিটির প্রধান পল চিংগোকা তাঁকে সেদেশের 'জাতীয় সম্পদ' বলে দাবি করেছিলেন। পাশাপাশি, জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে তাঁকে 'সোনার মেয়ে' বলেও সম্মানিত করেছিলেন।
আরও পড়ুন- আইপিএলে ভোলবদল, বিসিসিআইয়ের নতুন নিয়ম, ধীর ওভার রেটে শুধু চরম ক্ষেত্রে ক্যাপ্টেনে নিষেধাজ্ঞা
কোভেন্ট্রি জানিয়েছেন, নতুন সভাপতি হিসেবে তিনি অলিম্পিকে বেশিসংখ্যক দেশের অন্তর্ভুক্তি, জাতীয় অলিম্পিক কমিটিগুলির সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করা, স্বচ্ছ আয়োজক শহর নির্বাচন প্রক্রিয়ায় জোর দেওয়া, পরিচ্ছন্ন ক্রীড়া বিষয়ক প্রচার, লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করা, জলবায়ু পরিবর্তন, অ্যাথলেটদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং গেমসের আর্থিক অগ্রগতির মত সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জোর দেবেন।