বারবার বাদ পড়ছেন। জাতীয় দলে জায়গা পাচ্ছেন না। নির্বাচনের রাডারেই ছিলেন না। তবে এরপরেই সরাসরি ক্ষোভ জানালেন কেকেআর তারকা শেলডন জ্যাকসন। ক্রিকনেক্সট-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জ্যাকসন জানিয়ে দিয়েছেন, "৩৪ বছরেও ২২-২৩ বয়সীদের তুলনায় নিয়মিত পারফর্ম করছি। কোন বইয়ে লেখা রয়েছে, বয়স হয়ে গেলে আর জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়া হবে না? যাঁরা নির্বাচন করছেন কীসের ভিত্তিতে নির্বাচন করছেন? রঞ্জি স্কোর নাকি ফিটনেস? কেউ যদি টানা বেশ কয়েকটা মরসুমে ৮০০-৯০০ করে রান করেন, তার অর্থই হল, সে ফিট।"
ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ কয়েকটি মরশুম ধরেই ধারাবাহিক পারফর্মার শেলডন জ্যাকসন। তা সত্ত্বেও জাতীয় দলে ভাবাই হয়না তারকা উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের নাম। ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের বিরূদ্ধে শেষবার ইন্ডিয়া-এ দলের হয়ে খেলেছেন তিনি। আর বারবার ব্রাত্য হয়েই মেজাজ হারালেন তিনি। জানিয়ে দিলেন কেন স্রেফ বয়সের কারণে তাঁকে বাইরে রাখা হবে!
আরো পড়ুন: সৌরভ-জয় শাহকে তীব্র অপমান ইংল্যান্ড বোর্ডের! দেওয়া হল না মাঠে থাকার অনুমতি
তিনি আরো বলেছেন, "অনেক সময়েই আমাকে বলা হয়, বয়স ৩০ পেরিয়ে গিয়েছে। কোন বইয়ে লেখা রয়েছে যে ৩০ পেরিয়ে গেলে আর নেওয়া যাবে না? এঁরা কারা যাঁরা আমার অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছেন?"
সৌরাষ্ট্রের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলেন জ্যাকসন। সৌরাষ্ট্রের জার্সিতে জ্যাকসন ৭৬টি প্রথম শ্রেণির, ৬০টি লিস্ট-এ এবং ৫৯টি টি২০ ম্যাচ খেলেছেন। ২০২০/২১ মরশুমে জ্যাকসন অবশ্য পন্ডিচেরির হয়ে নাম লেখান। রঞ্জি, লিস্ট এ এবং টি২০ ম্যাচে জ্যাকসনের রানসংখ্যা যথাক্রমে ৫৬৩৪, ২০৯৬ এবং ১২৪০ রান।
সুযোগ না পেয়ে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জ্যাকসন আরো বলেছেন, "রঞ্জি ট্রফি এই মরশুমে হয়নি। বিজয় হাজারে, সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে কি আমি পারফর্ম করিনি? এমন অনিশ্চিত সময়ে জানতাম রঞ্জি নয়, আমাকে সাদা বলের, গোলাপি বলের ক্রিকেটে ভালো খেলতে হবে। সেটাই করেছি। বলা যতটা সহজ সেটা করা মোটেই নয়। তবে আমি ব্যাটে রান পেয়েছি, তাই বলার অধিকার রয়েছে।"
আইপিএলে কেকেআরের স্কোয়াডে রয়েছেন জ্যাকসন। কেকেআরে সঙ্গে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আমিরশাহি উড়ে যাবেন তিনি দ্বিতীয় পর্যায়ের আইপিএল খেলতে। যদিও কেকেআরের হয়ে এই মরশুমে একটাও ম্যাচে নামার সুযোগ হয়নি তাঁর। দু-বারের চ্যাম্পিয়ন দলের হয়ে মোট ৪বার খেলেছেন তিনি। অতীতে আরসিবি স্কোয়াডের সদস্য ছিলেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন