Kolkata Knight Riders part ways with head coach Chandrakant Pandit: IPL-এ কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR) সঙ্গে অধ্যায় শেষ হল চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের (Chandrakant Pandit)। মঙ্গলবার কেকেআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দলের প্রধান কোচ হিসেবে আর থাকছেন না এই অভিজ্ঞ এই কোচ। ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে এক্স (আগের টুইটার)-এ পোস্ট করে বলা হয়েছে, "চন্দু স্যর, আমরা আপনার ভবিষ্যতের যাত্রার জন্য শুভকামনা জানাই।"
২০২২ সালে মধ্যপ্রদেশকে তাদের প্রথম রঞ্জি ট্রফি জেতানোর অসামান্য কৃতিত্বের পর কেকেআর (Kolkata Knight Riders) তাঁকে প্রধান কোচ হিসেবে দলে নিয়ে আসে। পণ্ডিত ২০২৪ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং প্রথম মরশুমেই কলকাতাকে তৃতীয় আইপিএল শিরোপা এনে দেন। যদিও এবছর দল প্লে-অফে উঠতে ব্যর্থ হয় এবং মরশুম শেষ হওয়ার পর থেকেই তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।
কেকেআরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "মিঃ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত নতুন সুযোগের সন্ধান করতে চাইছেন এবং সে কারণে তিনি প্রধান কোচের ভূমিকা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। আমরা তাঁকে ধন্যবাদ জানাই এবং আগামী দিনের জন্য শুভেচ্ছা রইল।"
কেকেআরের সঙ্গে যোগ দেওয়ার সময় পণ্ডিত বলেছিলেন, “এই দায়িত্ব পাওয়া আমার কাছে গর্ব এবং সৌভাগ্যের বিষয়। নাইট রাইডার্সের পারিবারিক পরিবেশ এবং সাফল্যের ঐতিহ্য সম্পর্কে অনেক শুনেছি। আমি দলের গুণমান এবং সাপোর্ট স্টাফদের নিয়ে খুবই আশাবাদী। আমি এই সুযোগের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।”
আরও পড়ুন শেষবেলায় টিম ইন্ডিয়ায় এন্ট্রি KKR তারকার, ইংল্যান্ড সিরিজে সুযোগ পেলেন গম্ভীরের 'কাছের মানুষ'
বর্তমানে পণ্ডিতের ভবিষ্যৎ গন্তব্য নিয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে যেভাবে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে আইপিএল পর্যন্ত নিজের ছাপ রেখে গিয়েছেন, তাতে খুব শিগগিরই নতুন কোনও দলে তাঁকে দেখা যেতে পারে, এমনটাই আশা করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
কঠোর পরিশ্রম ও শৃঙ্খলা, এই দুটো শব্দ যেন চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের কোচিং দর্শনের অপরিহার্য অংশ। মাঠে হোক কিংবা মাঠের বাইরে, নিয়মের বাইরে বেরোলেই তার কড়া জবাব রয়েছে। তাঁর কোচিং কেরিয়ারে এমন বহু গল্প রয়েছে, যা তাঁর কঠোর স্টাইলকে তুলে ধরে।
বিদর্ভ, মধ্যপ্রদেশ বা কেকেআরের মতো দলগুলো যখন তাঁর অধীনে ছিল, তখন খেলোয়াড়রা জানতেন, কোনও শিথিলতা বরদাস্ত করা হবে না। কর্ণাটকের বিরুদ্ধে এক রঞ্জি সেমিফাইনালের সময় তো পণ্ডিত এতটাই কঠোর হয়েছিলেন যে, নিজের দলের খেলোয়াড়দের মোবাইল ফোনই কেড়ে নিয়েছিলেন। কারণ, তাঁর আশঙ্কা ছিল, খেলোয়াড়রা রাতভর ফোন ঘেঁটে মনোযোগ হারাতে পারেন ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে।
আরও পড়ুন ভারতকে জিতিয়েছিলেন বিশ্বকাপ, বিরাটের পর অবসর নিলেন IPL জয়ী KKR তারকা
শুধু তাই নয়, শোনা যায়, কোচিং চলাকালীন কেউ যদি তাঁর নির্ধারিত নিয়ম অমান্য করত, তাহলে কখনও কখনও চড় মারতেও পিছপা হতেন না তিনি। যদিও এই বিষয়টি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে বহুবার, তবে এটাও অস্বীকার করা যায় না যে, তাঁর রিমোট-কন্ট্রোল কৌশলের পিছনে রয়েছে এক সুস্পষ্ট ও সফল পরিকল্পনা।
একটা সময় তিনি নিজেও জাতীয় দলের অংশ ছিলেন। আটের দশকের মাঝামাঝি থেকে নয়ের দশকের শুরু পর্যন্ত ভারতের হয়ে পাঁচটি টেস্ট এবং ৩৬টি ওয়ানডে খেলেছিলেন পণ্ডিত। খেলোয়াড়ি জীবনে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খুব বেশি সাফল্য না পেলেও কোচ হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন বহুবার।