/indian-express-bangla/media/media_files/2025/02/13/yEmNNHReTLtytOvkb9AV.jpg)
East Bengal-Abhishek Bandyopadhyay: ইস্টবেঙ্গল-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। (ছবি- ফেসবুক)
East Bengal-League Champion: মরশুমের প্রথম ট্রফি ঢুকল ইস্টবেঙ্গলের ঘরে। বৃহস্পতিবার লাল-হলুদ শিবিরের শেষ ম্যাচ খেলার কথা ছিল যাদবপুরের কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাবের (ডিএইচএফসি) বিরুদ্ধে। কিন্তু, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ডিএইচএফসি শেষ পর্যন্ত খেলতে রাজি হয়নি। তার ফলেই ওয়াকওভার পেয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। আর, তাতেই মরশুমের প্রথম ট্রফি তাদের ঘরে ঢুকল।
প্রথমে এই ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল নৈহাটিতে। কিন্তু, ইস্টবেঙ্গল নৈহাটিতে এই ম্যাচ খেলতে রাজি হয়নি। তারপরই ম্যাচ যাদবপুরের কিশোর ভারতীতে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু, এবার ডায়মন্ড হারবার সেখানে খেলল না। কারণ, মাঠ নিয়ে তাদের কোনও আপত্তি নেই। আসলে, আর তিন দিন পর ১৬ ফেব্রুয়ারি আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনের ম্যাচ খেলতে হবে ডায়মন্ড হারবার দলকে। সেই কারণেই কলকাতা লিগের ম্যাচ এড়িয়ে গেল কিবু ভিকুনার দল। কারণ, এদিনের ম্যাচে খেললে তাদের খেলোয়াড়দের চোট লেগে যেতে পারত। সেক্ষেত্রে আই লিগের ম্যাচে বিপাকে পড়তে হত ডায়মন্ড হারবার দলকে।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/02/13/l7kk4x6Mn3AKzMVzb4Rn.jpg)
তাতে অবশ্য লাভই হল লাল-হলুদ শিবিরের। গত মরশুমের মত এই মরশুমেও তাঁবুতে ট্রফির খরা। গত মরশুমে সুপার কাপ ছাড়া ক্লাব তাঁবুতে অন্য কোনও ট্রফিই ঢোকেনি। এই মরশুমেও আইএসএলের প্লে-অফে যাওয়ার খুইয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এই পরিস্থিতিতে হতাশ ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মনে একটু হলেও খুশি এনে দিতে পারে পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা কলকাতা লিগ। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা অবশ্য তাতে কতটুকু খুশি হতে পারবেন, তা বলা বেশ কঠিন। ক্লাবের একের পর এক ম্যাচে হারের জেরে সমর্থকদের ক্ষোভ উগরে উঠেছে। কর্তাদের পাশাপাশি, সমর্থকদের ক্ষোভ ক্লাবের বিদেশিদের নিয়েও। তার ওপর আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী তাঁবু মোহনবাগানের সাফল্য তরতর করে এগোচ্ছে। ফলে, রীতিমতো অস্বস্তিতে ইস্টবেঙ্গলের কর্তারাও।
আরও পড়ুন- ভালো ফুটবলার চাই! জেলায় গিয়ে বাছাই আইএফএর কোচ, প্রতিনিধির
তবে, এই পরিস্থিতিতেও আশা ছাড়তে নারাজ ইস্টবেঙ্গল দলের বর্তমান কোচ অস্কার ব্রুজো। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ সহজ হবে না। তাদের কোচ বেশ অভিজ্ঞ। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, হলও তাই। যুবভারতীতে ওই ম্যাচ হারার পরই অস্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন যে আইএসএলের আশা তাঁদের শেষ। এবার লক্ষ্য সুপার কাপ এবং এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ। তবে, লাল-হলুদ শিবিরের বিদেশি খেলোয়াড়দের যা পারফরম্যান্স, তাতে অস্কারের সেই লক্ষ্যও কতটা পূরণ হবে, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েই যাচ্ছে।