রবিবার মস্কোয় উড়ল ভারতের বিজয় পতাকা। কোনেরু হাম্পি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। র্যাপিড চেসে চিনের লেই তিঙ্গজেকে টানটান লড়াইয়ে আর্মাগেড্ডনে কুপোকাত করেন ভারতীয় তারকা। ১২ রাউন্ডের শেষে কোনেরু হাম্পি ১২ পয়েন্ট অর্জন করে খেলা টাই করে দেন। তারপরে আর্মাগেড্ডনে ম্যাচের ফয়সালা করতে হল।
তার আগে এদিন কোনেরু হাম্পি শুরুটা মোটেই ভাল করতে পারেননি। শুরুর গেমেই হেরে বসেছিল। তবে দ্রুত সেই ধাক্কা কাটিয়ে ম্যাচে ফিরে আসেন তিনি। দ্বিতীয় গেম জিতে নিয়ে ম্যাচ টাই করে দেন। তারপরে নির্ণায়ক রাউন্ডে রূদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসেন তিনি।
কোনেরু হাম্পি যখন মহিলাদের র্যাপিড চেসে বাজিমাত করলেন। তার কিছুক্ষণ পরেই পুরুষদের বিভাগে এই শিরোপা জিতলেন নরওয়ের সুপারস্টার ম্যাগনাস কার্লসেন। যিনি কিছুদিন আগেই কলকাতায় এসেছিলেন গ্র্যান্ড চেস ট্যুর খেলতে।
কোনেরু হাম্পি জয়ের পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তরুণীকে ঘিরে উচ্ছ্বাসের বন্যা বয়ে যায়। প্রত্যেকেই হাম্পির নাছোড় মানসিকতার প্রশংসা করেছেন।
কীভাবে তিনি উঠে এসেছেন সেরাদের মঞ্চে? ফিডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাম্পি বললেন, "তৃতীয় দিন যখন খেলা শুরু করলাম, তখন ভাবতেই পারিনি শীর্ষস্থানে পৌঁছে যাব। আশা ছিল, সেরা তিনের মধ্যে জায়গা করে নিতে পারি। তবে টাইব্রেকারে খেলবে, এমন চিন্তা মাথাতেই আসেনি।"
এরপরে তিনি আরও বলেছেন, "প্রথম গেম হারার পরে দ্বিতীয় গেম ঠিক সময়ে জিতে নিয়েছিলাম। এটা অনেকটা জুয়া খেলার মতো ছিল। তবে আমি জিতেছি। চূড়ান্ত লড়াইয়ে আমি ভাল পজিশনে ছিলাম। তাই জিততে সমস্যা হয়নি।"
Read the full article in ENGLISH