মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়ার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র চিঠি পাঠিয়েছে বিসিসিআই ও ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে। বোর্ড আর বিরাটের কাছে খাদ্যাভাসে একটা পরিবর্তন আনার আর্জি রেখেছে তারা। কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র বলছে বিরাটদের পাতে গ্রিলড চিকেনের পরিবর্তে উঠুক এক বিশেষ ধরণের কড়কনাথ মুরগি।
কী এই কড়কনাথ মুরগি? কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বোর্ডকে পাঠানো চিঠিতেই লেখা রয়েছে সেই বিশেষ মুরগির গুণাগুণ। তাদের দাবি বিরাটরা সাধারণত যে গ্রিলড চিকেন খেয়ে থাকেন তাতে রয়েছে হাই কোলেস্টেরল ও ফ্যাট। কড়কনাথ চিকেনে কোলেস্টেরল ও ফ্যাটের পরিমাণ অত্যন্ত কম। রয়েছে হাই প্রোটিন ও আয়রন।
আরও পড়ুন: কোহলিদের পাতে যেন গোমাংস না-পড়ে, বোর্ডের বার্তা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে
কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র লিখেছে, “ মিডিয়ার থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে বিরাট কোহলি ও ভারতীয় দলের অনান্য প্লেয়ারদের ডায়েটে রয়েছে গ্রিলড চিকেন। কিন্তু এতে হাই কোলেস্টেরল ও ফ্যাট রয়েছে। ঝাবুয়ার কড়কনাথ চিকেনে কোলেস্টেরল ও ফ্যাটের পরিমাণ অত্যন্ত কম। রয়েছে হাই প্রোটিন ও আয়রন। হায়দরাবাদে এক বৈঠকে ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টারের রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে। কড়কনাথ চিকেনে আপনাদের মুরগির প্রয়োজনীয়তা মিটবে। ফলে আপনাদের এই চিকেন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি আমরা।”
‘ব্রেকফাস্ট উইথ চ্যাম্পিয়ন্স’ অনুষ্ঠানে কোহলি বলেছিলেন যে, তিনি ব্রেকফাস্টে তিনটি ডিমের সাদা অংশ ও একটি গোটা ডিম দিয়ে অমলেট খান। তাতে থাকে পালং শাক, গোল মরিচ ও চিজ। এর সঙ্গে নেন গ্রিলড ব্যাকন বা স্মোকড সালমন। ফলের মধ্যে থাকে পেপে, ড্রাগন ফ্রুট আর তরমুজের মধ্যেই কিছু একটা। ফ্যাটের জন্য বেশ ভাল পরিমাণে চিজ খান তিনি। বিশ্বের যে প্রান্তেই কোহলি যান সঙ্গে করে বিশেষ এক রকমের মাখন নিয়ে যান। আর হোটেল থেকে গ্লুটেন ফ্রি ব্রেড নিয়ে নেন। ব্রেকফাস্টে একটা বড় পটের চার কাপ গ্রিন-টি পান করেন লেবু দিয়ে। কোহলি এও জানিয়েছিলেন যে, টিমের ট্রেনার শঙ্কর বসুর পরামর্শে পেশি বাড়ানোর জন্য তিনি রেড মিট নেওয়া শুরু করেন। কিন্তু সাধারণত লাঞ্চে তিনি গ্রিলড চিকেন আর স্ম্যাশড পোটাটো খান। সঙ্গে থাকে পালং শাক ও সবজি। রাতে তিনি সামুদ্রিক খাবার খেয়ে থাকেন।