অনিল কুম্বলে, কেএল রাহুল! কোচ-অধিনায়কের এই কম্বিনেশনই ধরে রাখতে চাইছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। আগামী মরশুমেও। প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক টুর্নামেন্টে ষষ্ঠ স্থানে ফিনিশ করেছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। তবে ক্যাপ্টেন রাহুল এবং কোচ অনিল কুম্বলের পারফরম্যান্সে প্রভাবিত ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্তারা। আর মাস ছয়েকের মধ্যেই ফের একবার আইপিএলের আসর বসছে। সেখানে রাহুল-কুম্বলেকে ধরেই হিসাবে কষছে ম্যানেজমেন্ট।
অধিনায়কত্বের পাশাপাশি ব্যাট হাতে বরাবরের মত দুরন্ত ছিলেন রাহুল। এই মরশুমে ৫৫.৮৩ গড়ে ৬৭০ রান করেছেন তিনি। দলে প্রথমবার কোচিং করলেন কুম্বলেও। টুর্নামেন্টে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব একটা কোর গ্রুপ তৈরি করতে চাইছে সিএসকে, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে মাথায় রেখে।
আরো পড়ুন: ক্যামেরার সামনে বিব্রতকর অবস্থায় নীতা আম্বানি! ফাইনালের পরে মুখ লুকোলেন লজ্জায়
কর্তাদের দাবি সেই কোর গ্রুপ গড়ার পথে অনেকটাই এগিয়েছেন তাঁরা এই মরশুমে। কিংসদের কোর গ্রুপে ভাবা হচ্ছে লোকেশ রাহুল, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, ক্রিস গেইল, নিকোলাস পুরান, মহম্মদ শামি এবং রবি বিশ্নোই, অর্শদীপ সিংয়ের মত উঠতি তারকাদের।
বেশ কয়েক মরশুম ধরেই কিংসদের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে মিডল অর্ডার এবং বোলিং ডিপার্টমেন্ট। সেই লক্ষ্যপূরণের জন্য কিংস ব্রিগেদের এক সোর্স জানিয়েছেন, "দলের কোচ এবং ক্যাপ্টেনকে নিয়ে মালিক খুশি। ব্যাট হাতে দুরন্ত পারফর্ম করেছে রাহুল। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ কামব্যাক করেছিল টিম।"
এরপরেই তিনি জানিয়েছেন, "দলের কোর গ্রুপের ক্রিকেটারদের বাছা হয়ে গিয়েছে। মিডল অর্ডারে একজন পাওয়ার হিটার চাই। অন্যদিকে শামিকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য একজন বিশ্বমানের ফাস্ট বোলার প্রয়োজন।"
জানা গিয়েছে, শেলডন কটরেল, ম্যাক্সওয়েলকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত। দুই বিদেশি-ই একদম ব্যর্থ। ম্যাক্সওয়েল ১৩ ম্যাচে ১০৮ রান করেছেন ১৫.৪২ গড়ে। ২০১৭ সালে ম্যাক্সওয়েলকে ছেড়ে দেওয়ার পরেও ফের অজি তারকাকে ফিরিয়েছিল প্রীতির দল। নিলামে কটরেলকে ৮.৫ কোটি টাকায় কিনেও কোনো লাভ হয়নি। ম্যানেজমেন্টের সেই কর্তা বলেছেন, "দুজনেই প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই দুজনকে আর রাখা হবে না।"
ঘটনাচক্রে, আইপিএলের নিলামের সম্ভবনা রয়েছে। সেই বিষয়েই বোর্ডের পক্ষ থেকে সরকারীভাবে দিওয়ালি পর জানানো হবে। নিলাম হলে দলের রণকৌশল কী হবে, তা নিয়ে কিংসদের রিভিউ মিটিংয়ে আলোচনা হবে শীঘ্রই।
শেষদিকে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে প্লে অফ খেলার দাবিদার হয়ে উঠেছিল। তবে শেষ ম্যাচে সিএসকের কাছে হারাটা সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়। ২০১৪ সালে শেষবার প্লে অফে খেলেছিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন