ক্লাবকে নিজের সেরাটা দিতে প্রস্তুত। বিশ্বকাপের পর পিএসজিকে কঠিন ম্যাচে পেনাল্টিতে জিতিয়ে উঠেই বলে দিলেন কিলিয়ান এমবাপে। তবে এখনই বিশ্বকাপের ফাইনালের ঘোর কাটিয়ে উঠতে পারেননি ফরাসি সুপারস্টার। ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এমবাপে বললেন, "ওই ফাইনালে হারের পর দুঃস্বপ্নের সময় কাটাতে হয়েছে। সেই কারণে এদিনের জয় পেয়ে এবং দলের উইনিং গোল করতে পেরে ভালো লাগছে।"
"জাতীয় দলের হয়ে আমরা বিশ্বকাপ জিততে পারিনি এতে ক্লাবের কোনও দোষ নেই। এখন পিএসজির জার্সিতে নিজের সেরাটা দেব।"
আরও পড়ুন: মাঠে নেমেই অকারণে ডাইভ, কার্ড দেখিয়ে বের করা হল ‘অভিনেতা’ নেইমারকে, দেখুন ভিডিও
ফাইনালে ফ্রান্স রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে আর্জেন্টিনার কাছে হারের পর কী হয়েছিল, সেই বিষয়েও মুখ খুলেছেন তারকা। বলে দিয়েছেন, "ম্যাচের পরেই লিও-র সঙ্গে দেখা করে ওঁকে অভিবাদন জানিয়েছিলাম। এই ট্রফির জন্য ও সারাজীবন অপেক্ষা করে ছিল। আমিও। তবে আমি ব্যর্থ হয়েছি।"
মেসি-এমবাপে সম্পর্কে চির ধরার জল্পনা তৈরি হয়েছিল আর্জেন্টিনীয় গোলকিপার এমি মার্টিনেজের অঙ্গভঙ্গির সৌজন্যে। ম্যাচের পরেই যিনি লকাররুমে এমবাপের উদ্দেশ্যে কুৎসিত গান গেয়েছিলেন। পরে দেশে ফিরে সমর্থকদের সঙ্গে বাস-প্যারাডেতে বিজয় মিছিলেও এমবাপের পুতুল হাতে ব্যঙ্গ করেছিলেন তারকা। এমবাপে ফাইনালে টাইব্রেকার এবং জোড়া পেনাল্টি মিলিয়ে মোট চারবার পরাস্ত করেন গোল্ডেন গ্লাভস জয়ী মার্টিনেজকে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের পর নেমেই ৯৭ মিনিটে পেনাল্টিতে গোল এমবাপের, PSG-র জার্সিতে লাল কার্ডে ভিলেন নেইমার
তবে তাঁকে ট্রোলিং করার পাল্টা দিয়ে এমবাপে বিশ্বকাপের পর পিএসজিকে প্ৰথম ম্যাচ জেতানোর পর জানিয়ে দিয়েছেন, "সবসময় সঠিকভাবে আচরণ করতে চেয়েছি। ওঁর উদযাপনের ভঙ্গিমা আমার সমস্যা নয়। এরকম ফালতু ব্যাপারে নিজের উৎসাহ নষ্ট করি না।"
এর আগে মার্টিনেজ বনাম এমবাপে এবং মেসি বনাম এমবাপে দ্বৈরথে জল ঢালতে উদ্যোগী হয়েছিলেন পিএসজি বস গ্যালতিয়ের। সাংবাদিকদের তিনি প্যারিসে বলে দিয়েছিলেন, “কীভাবে সেলিব্রেট করা উচিত, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। এটা পুরোপুরি আর্জেন্টিনীয়দের ব্যাপার। এই অবস্থা আমাকে সামলাতেও হবে না। তবে ফাইনালের পর মেসি এবং কিলিয়ানকে একসঙ্গে হাত ধরাধরি করতে দেখেছিলাম। কিলিয়ানের আচরণ দৃষ্টান্তমূলক। ওঁদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা রয়েছে। কিলিয়ান ম্যাচের পরে মেসি এবং লিওনেল স্কালোনিকে অভিবাদন জানিয়েছিল। মেসি মোটেই এমবাপেকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করেনি। এই বিতর্ক থেকে লিওকে বাইরে রাখা হোক।”
“সবকিছু গুলিয়ে ফেললে হবে না। আর্জেন্টিনীয় গোলকিপারের প্রতিক্রিয়া নিয়ে কিছু বলতে চাই না। কিলিয়ানের মনোভাব দারুণ স্বচ্ছ। মেসিকে ম্যাচের পর শুভেচ্ছা জানিয়ে নিজের ক্লাস বুঝিয়ে দিয়েছে ও।”