ওয়ান ডে ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন টি টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলবেন বলে। আর সংক্ষিপ্ত ওভারের ফর্ম্যাটে প্রত্য়েক ম্যাচেই নতুন নতুন নজির গড়ছেন মালিঙ্গা। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেই চলতি সিরিজে টি টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হওয়ার রেকর্ড গড়েছিলেন। এবার পরপর ৪ বলে তাঁর শিকার ৪! তাঁর ক্রিকেটীয় কেরিয়ারে দ্বিতীয়বার। যা নিয়ে আরও একবার শিরোনামে লাসিথ মালিঙ্গা।
পাল্লাকেল্লেতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ১২৬ রান তুলেছিল স্কোরবোর্ডে। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ৮৮ রানে গুটিয়ে যায় কিউয়িরা। শ্রীলঙ্কার জয় ৩৭ রানে। নেপথ্যে মালিঙ্গার বিধ্বংসী স্পেল। দ্বিতীয় ইনিংসে রান চেজ করার সময়ে নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার কলিন মুনরো ও টিম স্টেইফার্ট শুরুর দু-ওভারে স্কোরবোর্ডে ১৫ তুলে ফেলেছিল। তারপরেই মালিঙ্গার ম্যাজিক। তৃতীয় ওভারের তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে মালিঙ্গা পরপর ফিরিয়ে দেন কলিন মুনরো, হামিশ রাদারফোর্ড, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম এবং রস টেলরকে।
মুনরো প্রথমে মালিঙ্গার ইয়র্কার সামলাতে না পেরে বোল্ড। তারপর রাদারফোর্ড ফুল লেংথের বলে লেগ বিফোর হয়ে যান। ইনসুইঙ্গার ইয়র্কার এরপরে বোল্ড হয়ে যান গ্র্যান্ডহোম এবং ওভারের শেষ বলে রস টেলর লেগ বিফোর! পরে অন্য কিউয়ি ওপেনার স্টেইফার্ট মালিঙ্গার আউট সুইঙ্গারেই প্রথম স্লিপে ক্যাচ তুলে আউট হয়ে যান। মাত্র ২৩ রানেই ৫ উইকেট খুইয়ে নিউজিল্যান্ড যে ধাক্কা খেয়েছিল, সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
৩৬ বছরের তারকা পেসার নিজের ৪ ওভারের কোটায় ৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন। এর আগে ২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পরপর চার বলে চার উইকেট নিয়েছিলেন। তাঁর বলে সেবার আউট হয়েছিলেন শন পোলক, অ্যান্ড্রু হল, জ্যাক কালিস, এবং মাখায়া এনতিনি। সেবার মালিঙ্গার দুরন্ত বোলিং জলে গিয়েছিল প্রোটিয়াজরা রুদ্ধশ্বাসভাবে ম্যাচ জিতে যাওয়ায়। এবার অবশ্য নিউজিল্যান্ড দাঁড়াতে পারেনি। মালিঙ্গার সামনে টপ অর্ডার ধসে যাওয়ার পরে লোয়ার অর্ডার ভাঙেন আকিলা ধনঞ্জয় এবং লক্ষ্মণ সন্দাকন।