ভারতের হয়ে প্রথমবার আন্তর্জাতিক খেতাব জিতেছিলেন ব্যাডমিন্টনে। সেই কিংবদন্তি নন্দু নাটেকর বুধবার পুণেতে নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। বয়স হয়েছিল ৮৮। রেখে গিয়েছেন একমাত্র পুত্র গৌরব এবং দুই কন্যাকে।
সুদীর্ঘ কেরিয়ারে ১০০-রও বেশি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেতাব জেতার নজির রয়েছে তাঁর। তবে বয়স জনিত কারণে বুধবারই থেমে গেল তাঁর যাত্রা। সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে তাঁর পুত্র গৌরব জানান, "গত কয়েকমাস ধরেই অসুস্থ ছিলেন উনি। বাড়িতে আমাদের সামনেই শান্তিতে চলে গেলেন উনি।"
আরো পড়ুন: ধাওয়ান-পান্ডিয়া সহ নেই নয়জন! মাঠে ইন্ডিয়ার এগারোজন কীভাবে নামাবেন দ্রাবিড়
বিশ্বের ক্রমপর্যায়ে একসময়ের তিন নম্বর ছিলেন নন্দু নাটেকর। নিজের সময়ে ভারতের সবথেকে জনপ্রিয় ক্রীড়াবিদ ছিলেন তিনি। অলিম্পিকের আসর বসেছে টোকিওয়। সেই সময়েই ভারতের অন্যতম সফর সফল ক্রীড়াবিদ প্রয়াত হওয়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশের ক্রীড়ামহলে।
পশ্চিম মহারাষ্ট্রের সাংলি-তে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তারপরে সুদীর্ঘ দেড় দশকের কেরিয়ারে জিতেছেন অজস্র খেতাব। ১৯৫৬ সালে মালয়েশিয়ায় সেলেঙ্গার ইন্টারন্যাশনাল ট্রফি জেতেন। সেটাই ছিল আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্ৰথম কোনো ভারতীয়ের খেতাব। তারও আগে ১৯৫৪-য় অল ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার কৃতিত্বও অর্জন করেন।
১৯৫১-১৯৬৩ সালের মধ্যে থমাস কাপে দেশের জার্সিতে ১৬টি সিঙ্গলস ম্যাচের মধ্যে ১২টি এবং ডাবলসে ১৬টির মধ্যে ৮টিতেই জিতেছেন। এই টুর্নামেন্টে ১৯৫৯, ১৯৬১ এবং ১৯৬৩ সালে নেতৃত্বও দেন জাতীয় দলকে। দেশের হয়ে ১৯৬৫ সালে জামাইকা কমনওয়েলথ গেমসেও অংশ নেন। ১৯৬১ সালে অর্জুন পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় তাঁকে।
নাটেকর পরিবারের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "প্রবল দুঃখের সঙ্গে জানানো হচ্ছে, আমাদের পিতা নাটেকর ২৮ জুলাই, ২০২১ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। কোভিড গাইডলাইন মেনে আমরা কোনোরকম শোকসভা আয়োজন করছি না। আপনাদের প্রার্থনা একান্তভাবে কাম্য।"
তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন