অভিমানী কান্নন না দেখার দেশে, শোকের ছায়া ময়দানি ফুটবলে

অসুস্থ কান্নন চলে গেলেন। রেখে গেলেন অজস্র গল্প, মিথ আর কাহিনী। উপেক্ষিত কান্ননের পাশে যেমন অনেকেই দাঁড়িয়েছেন শেষ দিকে। অনেকেই আবার মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন।

অসুস্থ কান্নন চলে গেলেন। রেখে গেলেন অজস্র গল্প, মিথ আর কাহিনী। উপেক্ষিত কান্ননের পাশে যেমন অনেকেই দাঁড়িয়েছেন শেষ দিকে। অনেকেই আবার মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Former footballer Pungam Kannan is seriously ill

হাসপাতালে অসুস্থ কান্নন। (নিজস্ব চিত্র)

সব শেষ। চলে গেলেন এশিয়ান পেলে পুঙ্গম কান্নন। ৮১ বছর বয়সে মৃত্যু কিংবদন্তি ফুটবলারের। গুরুতর অসুস্থ হয়ে চলতি এপ্রিলেরই প্রথম সপ্তাহে ভর্তি হয়েছিলেন তেঘরিয়ার এক হাসপাতালে। স্ট্রোক হয়ে শরীরের এক প্রান্ত অবশ হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে পরে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল বাঙ্গুরের এক হাসপাতালে। সেখানেই থমকে গেল কিংবদন্তির লড়াই।

Advertisment

আরও পড়ুন কিংবদন্তি কান্ননের স্ট্রোক, চিন্তায় ফুটবল মহল

একসময় কাঁপিয়েছেন দেশের ফুটবল। ’৬৮-তে কিংবদন্তি জার্মান কোচ ডেটমার ক্র্যামারের প্রশংসা এখন গল্পকথায় পরিণত। মুম্বইয়ে দু’সপ্তাহ কোচিং করাতে এসে কান্ননের খেলা দেখে সংবাদমাধ্যমকে ক্র্যামার বলেছিলেন, ‘‘এশিয়ার পেলে’কে দেখে গেলাম!’’ সেই বছরই এশিয়ান অলস্টার দলে একমাত্র ভারতীয় ফুটবলার হিসাবে সুযোগ পেয়ে গিয়েছেন কান্নন। ক্র্যামারের ফেভারিট কান্নন গত বছর থেকেই অসুস্থ ছিলেন। যে পা দিয়ে ফুটবল ময়দান শাসন করতেন সেই পা-ই ইউরিক অ্যাসিডে ফুলে গিয়েছিল।

আর্থিক অস্বাচ্ছন্দ্যের পাশাপাশি যোগ হয়েছিল উপেক্ষা আর বঞ্চনা। গতবছরেই অসুস্থ উপেক্ষিত কান্নন সরব হয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। তবে কেউ কথা রাখেনি। কিংবদন্তির অসুস্থতার খবরে এগিয়ে এসেছিলেন দুই প্রধানেরই বেশ কিছু ফ্যান-ক্লাব। পাশাপাশি মোহনবাগানের সচিব ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আর্থিক সাহায্য করেছিলেন। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন জপুরের কাউন্সিলর সঞ্জয় দাস এবং ক্রীড়ামন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্ল।

Advertisment

তবে অনেকেই আবার এগিয়ে আসেননি। যে সতীর্থদের সঙ্গে খেলে জগত জোড়া নাম করেছিলেন, তাঁরা অনেকেই উপেক্ষায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন। অভিমানী কান্নন তাই ক্ষোভ চেপেই পাড়ি দিলেন অজানা দেশে।

Kolkata Football Mohun Bagan