ময়দানি ফুটবলে নক্ষত্রপতন। না দেখার দেশে চলে গেলেন সুভাষ ভৌমিক। বেশ কিছুদিন ধরেই শরীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল। কিডনি প্রায় বিকল হয়ে গিয়েছিল। ডায়ালিসিসি চলছিল নিয়মিত। শুক্রবার কলকাতার ময়দানি ক্রীড়ামহলের পাশে থাকার উদ্যোগ নেয়। চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থারও আশ্বাস দিয়েছিলেন। তবে সকলকে সেই সুযোগটাই শেষমেশ দিলেন না ময়দানের প্রিয় ভোম্বল দা। শনিবার সকালেই ভেসে এল তাঁর প্রয়ানের সংবাদ।
দীর্ঘদিন দিন ধরেই শারীরিক কারণে অসুস্থ ছিলেন। সম্প্রতি কল্যাণী ফুটবল এক্সডমির ডিরেক্টর হওয়ারও প্রস্তাব এসেছিল। তবে অসুস্থ থাকায় সেই দায়িত্ব নিতে পারেননি। জানা যাচ্ছে, গত মাস চারেক অতিমারীর মধ্যেই নিয়মিত ডায়ালিসিস করতে হচ্ছিল তাঁকে।
আরও পড়ুন- সুভাষ ভৌমিকের চিকিৎসা হবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে, পাশে দাঁড়ালেন ক্রীড়ামন্ত্রী
কিডনি বিকল হওয়ার সঙ্গেই জবাব দিচ্ছিল হৃদযন্ত্রও। প্রায় বছর তিনেক আগে হৃদপিন্ডে বাইপাস সার্জারি হয়। সম্প্রতি একবালপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর চিকিৎসা নিয়ে ময়দানি ফুটবলকে আশ্বস্ত করেছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস স্বয়ং। তবে সেই লড়াই শেষমেশ কাজে এল না। প্রয়াত হয়ে চোখের জলে ভাসালেন দেশের ফুটবল মহলকে।
দেশের ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার তিনি। নিজের সময়ে একের পর এক ফুল ফুটিয়ে গিয়েছেন। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান দুই প্রধানেই রেখে গিয়েছেন অজস্র কীর্তির নজির। ফুটবলার হিসাবে এশিয়ান গেমসে সোনা জেতার নজিরও তাঁর দখলে।
তবে ফুটবলার হিসাবে অবসরের পরে সুভাষ ভৌমিক কোচিং জীবন সোনার অক্ষরে লিখে গিয়েছেন। কোচিংয়ের গুরু মানতেন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দুই প্রধান তো বটেই সাফল্যের সঙ্গে কোচিং করিয়েছেন দেশের একের পর এক ক্লাবকে। কোচ সুভাষের সেরা কীর্তি ২০০৩-এ এশিয়ান জয়।