বার্সেলোনা: ৩ (সুয়ারেজ, মেসি, গ্রিজম্যান)
বরুশিয়া ডর্টমুন্ড: ১ (স্যাঞ্চো)
নিজে গোল করলেন। বাকি দুই গোলে সতীর্থদের অ্যাসিস্ট করলেন। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর সঙ্গে সাম্প্রতিক অতীতে বেশ কয়েকবার পিছিয়ে পড়েছেন তিনি। ব্যালন ডি অর নিয়েও এবার দ্বৈরথ দুই তারকার। তার আগে মেসি বার্সেলোনার জার্সিতে ৭০০তম ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখলেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মেসির জ্বলে ওঠার দিনেই বার্সেলোনা ৩-১ ফলাফলে হারাল বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে।
বুধবার রাতে গোলের সুবাদে মেসির চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মেসির গোলসংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ১১৪-এ। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে মেসিই একমাত্র খেলোয়াড় যার আলাদাভাবে ৩৪টি দলের বিপক্ষেই গোল রয়েছে। বার্সেলোনার জার্সিতে বরাবরের মতো প্রতিপক্ষের অর্ধে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রাখলেন আর্জেন্টিনীয়।
২১ মিনিটে সুয়ারেজের প্রথম গোল অফসাইডে বাতিল হয়ে যায়। তবে প্রথম গোলের জন্য় বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি বার্সাকে। ২৯ মিনিটে লুইস সুয়ারেজকে গোলের পাস বাড়িয়ে সহায়তা করলেন মেসি। দুরন্ত পাসের চূড়ান্ত সদ্ব্যবহার করে দারুণ ফিনিশিংয়ের দৃষ্টান্ত রাখেন সুয়ারেজ।
প্রথম গোলের ৪ মিনিট পরেই দ্বিতীয় গোল। সেই মেসি-সুয়ারেজ কম্বিনেশনেই গোল! সুয়ারেজের বাড়ানো বল থেকে ডর্টমুন্ডের জালে দ্বিতীয়বার বল জড়ান মেসি।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ম্যাচের দখল নিয়েছিল জার্মান দলটি। তবে মেসিদের সামনে প্রত্যাবর্তন করতে পারেনি। বার্সেলোনার অর্ধে বরুশিয়া একের পর এক আক্রমণ শানালেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি। কাতালানদের দূর্ভেদ্য রক্ষণ সামলে দেয় বরুশিয়ার আক্রমণ। ৬৭ মিনিটে তৃতীয় গোল হজম করে ডর্টমুন্ড।
মেসির ছবির মতো বাঁধানো পাস ধরে অ্যান্টোনিও গ্রিঁজম্যান বার্সার হয়ে শেষ গোল করে। ৭৫ মিনিটে বার্সেলোনা আরও একটি গোলের সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি মেসি।
৭৭ মিনিটে ডর্টমুন্ডের হয়ে স্বান্ত্বনাসূচক গোল করে করেন যুব বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের জার্সিতে কলকাতায় খেলে যাওয়া জ্যাডেন স্যাঞ্চো।
Read the full article in ENGLISH