বার্সেলোনার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে বিশাল অর্থের বিনিময়ে ম্যান সিটিতে যাওয়া হয়নি। তবে লিওনেল আন্দ্রেস মেসিই আপাতত বিশ্বের ধনীতম ফুটবলার। ফোর্বসের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে মেসির মোট আয় ১২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ৯২ মিলিয়ন বেতন বাবদ পেয়েছেন। আর এনডোর্সমেন্ট থেকে অর্জিত আয় ৩৪ মিলিয়ন ডলার।
মেসির পরেই ধনীতম ফুটবলারদের তালিকায় দ্বিতীয়স্থানে রোনাল্ডো। জুভেন্টাসের মহাতারকার মোট উপার্জন ১১৭ মিলিয়ন ডলার। উপার্জনের নিরিখে সিআর সেভেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে পিছিয়ে থাকলেও টেক্কা দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। মেসিকে সরিয়ে রোনাল্ডোর সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলোয়ার সব থেকে বেশি।
আরও পড়ুন ধোনিকে দেখতে দাও, গেটের কাছে আকুল আর্তি! দুবাই ‘সাক্ষী’ ধোনি প্রেমের
যাইহোক, উপার্জনের তালিকায় তৃতীয় স্থানে নেইমার। তার আয় ৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। নেইমারের পিএসজি সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপে চতুর্থ স্থানে (৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
এই তালিকায় আরো জানা গিয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ বিশ্বের ধনীতম ঘরোয়া ফুটবল লিগ। তবে এই লিগে অংশ নেওয়া মাত্র দুই ফুটবলার রয়েছেন উপার্জনকারী সেরা দশের তালিকায়। লিভারপুলের খেতাব জয়ী তারকা মহম্মদ সালাহ রয়েছেন পঞ্চম স্থানে (৩৭ মিলিয়ন ডলার)। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের পল পোগবার আয় ৩৪ মিলিয়ন। তিনি তালিকায় ষষ্ঠ। পোগবার সতীর্থ ডেভিড দে গিয়া (২৭ মিলিয়ন) এই তালিকায় দশম স্থানে।
এছাড়াও বার্সেলোনার আন্তোনিও গ্রিজম্যান সপ্তম, রিয়াল মাদ্রিদের গ্যারেথ বেল তালিকায় অষ্টম স্থানে। বুন্দেশলিগার একমাত্র ফুটবলার হিসাবে সেরা দশে রয়েছেন রবার্ট লেওয়ানডস্কি।
অনিচ্ছা সত্ত্বেও মেসি বার্সেলোনায় থেকে যেতে বাধ্য হয়েছেন। মেসি আগে জানিয়েছিলেন, ক্লাবের সঙ্গে তাঁর ৭০০ মিলিয়ন রিলিজ ক্লজ মোটেই সক্রিয় নন। এবং তিনি ফ্রি প্লেয়ার হিসাবেই অন্য কোনো ক্লাবে চুক্তিবদ্ধ হতে পারেন। তবে মেসিই যুক্তি মানেনি বার্সেলোনা। আইনি পথে হাঁটা থেকে সরে এসে মেসিও ক্লাবে রয়ে গিয়েছেন আরো এক মরশুম। এই মরশুমই মেসির বার্সা কেরিয়ারের শেষ।
Read the full article in ENGLISH
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন