Lou Vincent's Shocking Revelation on Match-Fixing Scandal: প্রতিশ্রুতিমান ক্রিকেটার হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। তবে পূর্ণতা পায়নি সেই কেরিয়ার। ম্যাচ গড়াপেটার থাবা তার কেরিয়ার থামিয়ে দিয়েছে অকালে। সেই বিষয়েই এবার স্বীকারোক্তি করে বসলেন স্বয়ং লু ভিনসেন্ট।
২০০০-এর দশকে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগ খেলতে যাওয়াই হয়েছিল তাঁর কাল। দ্য টেলিগ্রাফ-এ কিউই তারকা বলেছেন, "পেশাদার ক্রীড়াবিদ হওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম না। ২৮ বছরে আমি ভয়ানকভাবে মানসিক অবসাদের শিকার হই। তারপরে ভারতে গিয়ে গড়াপেটার কালো জগতে জড়িয়ে পড়ি।"
"মনে হয়েছিল আমি সবসময়ই সেই অপরাধ জগতের অংশ ছিলাম। এটা আমাকে ভালো অনুভব করায়। তখন ভাবতাম, আমি একটা গড়াপেটা গ্রুপের অংশ হয়েছি। যাঁরা সবসময় আমার পাশে থাকবে। আর কেউই আমাদের ছোট এই গোপন বিষয় জানতে পারবে না।"
"আমি নিজেই নিজেকে ১২ বছর থেকে বড় করেছি। তাই আমার আশেপাশের মানুষের দ্বারা সহজেই প্রভাবিত হওয়ার ব্যাপার ছিল। কারণ সবসময়ই আমি চাইতাম সবাই আমাকে ভালোবাসুক। যেটা আমার পতনের দিকে নিয়ে যায়।"
"আমার এই ভালোবাসার চাওয়া, সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার অনুভূতি পেশাদারি ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তুলেছিল।"
আরও পড়ুন: এই ব্যক্তির জন্যই লাবুশেনকে মারতে যান সিরাজ! টেস্ট শেষ, মুখ খুললেন সেই 'নারদ'
"আমি হোমসিক ছিলাম। তাই কখনও রান না পেলে কোচেরা বাদ দিয়ে দিত। ভাবত, আমি নিউজিল্যান্ডের হয়ে একশো শতাংশ দিতে প্রস্তুত নই। কারণ আমি একাকী হোমসিক বাচ্চা।"
৪৬ বছরের নিউজিল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটার কেরিয়ার শুরু করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুরন্ত শতরান হাঁকিয়ে। তবে দেশের হয়ে ২৩ টেস্ট এবং ১০৮টি ওয়ানডে খেলার পর ভিনসেন্টের কেরিয়ার খতম হয় যায় ম্যাচ গড়াপেটায় জড়িয়ে। ২০১৪-য় ইসিবির তরফে আজীবন নির্বাসনে পাঠানো হয় তাঁকে।
এখন কিউই তারকা আক্ষেপে ভেসে যাচ্ছেন। বলছেন, "ওই জগতে থাকলে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসা ভীষণ মুশকিল। সবসময়ই একটা অন্তর্নিহিত হুমকি থাকে যে 'আমরা তোমাকে চিনি, তোমার বাচ্চা কাচ্চাদের চিনি।' কখনই ওঁরা সরাসরি হুমকি দেয়না। তবে ওঁদের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, বড়সড় গোপন অন্ধকার জগতের অংশ ওঁরা।"
"এমনকি প্রস্তাবিত ম্যাচ ফিক্সিংয়ের পরেও এই জাল থেকে বেরোনো যায় না। একমাত্র আমি যেভাবে বেরিয়েছি (দোষ স্বীকার করে) তা ছাড়া এই অন্ধকার থেকে বেরোনো মুশকিল।" "পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে ক্রিকেটারদের সংস্থাগুলোর কাছে যাওয়া এবং গিয়ে গোটা বিষয় তুলে ধরা- ইসিবি বেশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।"