Bangladesh’s Mahmudullah Retires from International Cricket After 239 ODIs: বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বুধবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা ঘোষণা করলেন। ৩৯ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার ২০২১ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন এবং ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে টি-২০ ক্রিকেটকেও বিদায় জানান। তাঁর শেষ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট ছিল সদ্য সমাপ্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, যেখানে বাংলাদেশ দল গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে। তার পরেই অবসরের কথা জানালেন এই টাইগার তারকা।
মাহমুদউল্লাহ তাঁর অবসরের কথা জানিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, 'সমস্ত প্রশংসা একমাত্র মহান আল্লাহর জন্য। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার সকল সতীর্থ, কোচ এবং বিশেষ করে আমার ভক্তদের ধন্যবাদ জানাই, যাঁরা সবসময় আমাকে সমর্থন করেছেন। আমার বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি, বিশেষ করে আমার শ্বশুর এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমার ভাই এমদাদউল্লাহকে ধন্যবাদ। তিনি শৈশব থেকেই আমার কোচ ও মেন্টর হিসেবে পাশে ছিলেন। আর আমার স্ত্রী ও সন্তানদেরও ধন্যবাদ জানাই, যাঁরা সবসময় আমার পাশে ছিলেন। সবকিছু সবসময় নিখুঁতভাবে শেষ হয় না, তবে আমাদের এগিয়ে যেতে হয়। আমার দল ও বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য শুভকামনা রইল।'
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মাহমুদউল্লাহ তেমন ভালো পারফর্ম করতে পারেননি। তিনি মাত্র ৪ রান করেছেন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে একমাত্র ম্যাচে। ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে খেলেননি, আর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে বাতিল হয়েছে।
মাহমুদউল্লাহ তাঁর ওয়ানডে কেরিয়ারে ২৩৯ ম্যাচে ৫,৬৮৯ রান করেছেন। যার মধ্যে ৪টি সেঞ্চুরি ও ৩২টি হাফ-সেঞ্চুরি রয়েছে। বল হাতে তিনি ৮২টি উইকেট নিয়েছেন। বাংলাদেশ দলের ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় তিনি চতুর্থ স্থানে রয়েছেন— তাঁর আগে আছেন তামিম ইকবাল (৮,৩৫৭), মুশফিকুর রহিম (৭,৭৯৫) ও সাকিব আল হাসান (৭,৫৭০)।
আরও পড়ুন- '৬০-এই বুড়ো হয়ে গেছেন..', ক্রিকেটারদের মধ্যে আমির খান ও রণবীর কাপুরের মজার বাগবিতণ্ডা!
মাহমুদউল্লাহ বড় মঞ্চে ভালো পারফর্ম করার জন্য বাংলাদেশে বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন। এর প্রমাণ হল তাঁর ৪টি সেঞ্চুরি। এর মধ্যে ৩টি সেঞ্চুরি তিনি করেছেন বিশ্বকাপে এবং ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে করেছেন ১টি সেঞ্চুরি। এই কৃতিত্ব বাংলাদেশের কোনও ব্যাটসম্যানের নেই। মাহমুদউল্লাহ ২০২৩ সালে ভারতে আয়োজিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২৮ রান করেছিলেন।