চুক্তি নিয়ে ইস্টবেঙ্গল-শ্রী সিমেন্ট টানাপোড়েন অব্যাহত। আইএসএল খেলতে পারবে লাল-হলুদ? ধোঁয়াশা গাঢ় হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ফের মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে শ্রী সিমেন্ট যুক্ত হওয়ার পর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি সই নিয়ে নানা সমস্যা তৈরি হয়। প্রাথমিক চুক্তিপত্রের সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তিপত্রের পার্থক্য অনেক বলে দাবি করে ইস্টবেঙ্গল কর্তৃপক্ষ। যদিও তা বারে বারেই নস্যাৎ করেছে বিনিয়োগকারী সংস্থাটি। কিন্তু এই অবস্থায় ময়দানের এই ক্লাবের সঙ্গে আর সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজি নয় শ্রী সিমেন্ট।
রবিবারই ক্লাবকে স্পোর্টিং রাইটস ফেরত দেওয়ার ইচ্ছের ইঙ্গিত দিয়েছিল শ্রী সিমেন্ট। সূত্রের খবর, এবার তাদের সেই ইচ্ছের কথা সরাসরি নবান্নে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে বিনিয়োগকারী সংস্থা। এ জন্য ক্লাবকে কোনও অর্থও দিতে হবে না বলে দাবি তাদের। আর তারপরই ইস্টবেঙ্গল চুক্তি বিতর্কে ফের আবারও প্রতিক্রিয়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- ইস্টবেঙ্গলের দুয়ারে এবার স্পোর্টিং রাইটস! বিচ্ছেদের পথেই হয়ত হাঁটছে শ্রী সিমেন্ট
নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এটা ব্যাড অ্যাটিটিউট। তাহলে গত এক বছর ধরে কেন ওরা কথা এগলো। আমাকে বলল দেখছি কী করা যায়। এখন শেষ মুহূর্তে এসে বলছে টাকা দেবে না। আমি বিরক্ত।"
কঠিন সময়ের সম্মুখীন লাল-হলুদ। এই সময়ে সবারই ইস্টবেঙ্গলের পাশে দাঁড়ানো উচিত বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, "মোহনবাগান আইএসএল খেলছে। আমরা চাই ইস্টবেঙ্গলও খেলুক। বাংলার ফুটবলের উন্নতি হোক। এখন সবাইকার ইস্টবেঙ্গলের পাশে দাঁড়ানো উচিত।"
যদিও ইস্টবেঙ্গলের তরফে ক্লাবকর্তা দ্বব্রত সরকার এ দিন দাবি করেন যে, ''ক্লাবে এখনও কোনও চিঠি এসে পৌঁছয়নি। চিঠি এলে সঙ্গে সঙ্গেই তা লিগাল সেলের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তারপরে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকরি কমিটির বৈঠক ডাকা হবে। তারপরই সব জানাব। আশা করছি সব ভালই হবে। আমরা আইএসএল মিস করব না। সদস্য, সমর্থকরা আশাহত হবেন না।''
জানা গিয়েছে, বিচ্ছেদে সিলমোহর পড়লেও শ্রী সিমেন্ট নিজেদের সমস্ত চুক্তির সব আর্থিক দায়ভার নেবে। রবি ফাউলারের সহ মোট কোচিং স্টাফে মোট ছয় বিদেশির অর্থ মেটাবে বিনিয়োগকারী সংস্থাটি। ক্লাবের তরফে সাত জন দেশি ফুটবলার এখনও চুক্তিবদ্ধ রয়েছেন। সেই দায়িত্ব ক্লাবকেই সামলাতে হবে। সূত্রের খবর, শ্রী সিমেন্টের তরফে ক্লাবকে সাফ বলা হবে, ১ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁদের সমস্ত চুক্তির প্রাপ্য বকেয়া তাঁরাই মেটাবেন।
দুই তরফে বিচ্ছেদ হলেও ক্লাব তড়িঘড়ি দল গঠন করে মাঠে নামাতে পারবে? এখন এই প্রশ্নই সব থেকে বড় হয়ে উঠছে লালা-হলুদ সভ্য, সমর্থকদের কাছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন