এক পেগ মদ্যপানেও মৃত্যুর ঝুঁকি! সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হল মারাদোনাকে

মানসিক অবসাদের কারণে ইপসেনা ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই খাবারে অনীহা এবং দুঃখ গ্রাস করছিল তাঁকে।

মানসিক অবসাদের কারণে ইপসেনা ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই খাবারে অনীহা এবং দুঃখ গ্রাস করছিল তাঁকে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বুয়েনস আয়ার্সের হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন দিয়েগো মারাদোনা। সপ্তাহ খানেক আগে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। তারপর হাসপাতালেই ছিলেন তিনি। বাড়িতে আপাতত তিনি রিকভারি সেশন চালাবেন।

Advertisment

স্থানীয় আর্জেন্টাইন টিভির ফুটেজে দেখা গিয়েছে, মারাদোনাকে অলিভিয়োস ক্লিনিক থেকে এম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিশ্বকাপজয়ী সুপারস্টারের ব্যক্তিগত চিকিৎসক নিউরোলজিস্ট লিওপোল্ড লুপে জানিয়েছেন, তিনি এই হাসপাতাল থেকে ছাড়া যাওয়ায় সম্মত হয়েছেন।

আরো পড়ুন: রক্তক্ষরণ বন্ধ, মস্তিষ্কে সফল অস্ত্রোপচার মারাদোনার

Advertisment

অতিরিক্ত মাদক-নির্ভরতার জন্য ৬০ বছরের কিংবদন্তি চিকিৎসা চালিয়ে যাবেন। এই কথা জানিয়েছেন মারাদোনার আইনজীবী ম্যাতিয়াস মোরলা। মস্তিষ্কে রক্তপাতের কারণে মারাদোনার জরুরিকালীন অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। মস্তিষ্কের মেমব্রেন পর্দায় রক্ত জমাট বাঁধছিল। মারাদোনার মদ্যপানে এখনো আসক্তি রয়েছে। সেই কারণে চিকিৎসক লিওপলডো লুপে জানান, সামান্যতম মদ্যপানও মারাদোনার রিকভারির সময় ওষুধ সেবনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। জানা গিয়েছে, মারাদোনা বড় মেয়ের বাড়িতে রিকভারি করবেন।

আইনজীবী মোরলা জানিয়েছেন, "এই অস্ত্রোপচার মারাদোনার জীবনে সবথেকে কঠিনতম মুহূর্ত। এটা ওঁর জীবন কেড়ে নিতে পারত। এই সময়ে ওঁর পরিবারের সঙ্গে সান্নিধ্য প্রয়োজন। সেই সঙ্গে চিকিৎসকদের সঙ্গেও সংস্পর্শে থাকতে হবে।" মারাদোনার সুস্থতা নিয়ে কেউ যেন সোশ্যাল মিডিয়ায় নেতিবাচক কিছু না লেখেন, তা নিয়েও আর্জি করেছেন তিনি।

এর আগে লা প্লাতার একটি ক্লিনিকে এনিমিয়া এবং ডিহাইড্রেশনের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন মারাদোনা। সেখানেই রক্তপাতের বিষয়টি নজরে আসে। সেখান থেকেই তড়িঘড়ি অলিভিয়োস ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। মারাদোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক লিওপোল্ড লুপে জানান, মস্তিষ্কের মেমব্রেন পর্দায় রক্ত জমাট বেঁধে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাঁর বক্তব্য সম্ভবত কোনো দুর্ঘটনায় পড়েন মহাতারকা। যদিও মারাদোনা জানিয়েছেন, এমন কোনো দুর্ঘটনা তাঁর স্মরণে নেই।

অক্টোবরের ৩০ তারিখে আর্জেন্টিনার প্রথম ডিভিশনের ক্লাব জিমনাসিয়া এসগ্রিনে কোচিং করানোর সময় আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। খেলার মাঝপথেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। তখনই মারাদোনার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে চর্চা শুরু হয়।

Read the full article in ENGLISH

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

maradona