Experts Reveal Shocking Details from Maradona’s Autopsy in Court Testimony: বিশ্ব ফুটবলের রাজপুত্র দিয়েগো মারাদোনার মৃত্যু হয়েছিল কীভাবে? তা নিয়ে ধন্দ আরও উসকে দিল অটোপসি রিপোর্ট। মঙ্গলবার, দিয়েগো মারাদোনার মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্তে জড়িত বিশেষজ্ঞরা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এই আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকার হৃদপিণ্ড মৃত্যুর সময় অস্বাভাবিক বড় ছিল, তিনি সিরোসিসে ভুগছিলেন। তাঁর মৃত্যুর সময় শরীরে অ্যালকোহল বা মাদকের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ আলেহান্দ্রো এজেকিয়েল ভেগা আদালতকে জানিয়েছেন, মারাদোনার হৃদপিণ্ড 'প্রসারিত' ছিল এবং এর ওজন ছিল প্রায় ৫০৩ গ্রাম। যেখানে গড় ওজন ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রামের মধ্যে হয়ে থাকে।
মারাদোনা, ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর তিনি ৬০ বছর বয়সে মারা যান। যা খেলোয়াড়দের মৃত্যুর গড় বয়সের চেয়ে অনেকটাই কম। ভেগা এই প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা করে জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তে দেখা গেছে যে মারাদোনা দীর্ঘদিন ধরে 'ইসকেমিয়ায়' ভুগছিলেন। যার ফলে তাঁর শরীরে রক্ত ও অক্সিজেনের সরবরাহ কমে গিয়েছিল।
ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, মারাদোনার মৃত্যু হয়েছে 'কনজেস্টিভ হার্ট ফেইলিউরের কারণে সৃষ্ট তীব্র পালমোনারি এডিমা' থেকে। মারাদোনা তাঁর মৃত্যুর কয়েক দিন আগে মস্তিষ্ক ও খুলির মধ্যে জমে থাকা রক্ত সরানোর জন্য অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন এবং তিনি বুয়েনস আইরেসের শহরতলির একটি বাড়িতে মারা যান।
অভিযোগ উঠেছে, মারাদোনার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা সাত স্বাস্থ্যকর্মী— একজন নিউরোসার্জন, একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, একজন মনোবিজ্ঞানী, চিকিৎসক এবং নার্স—তাঁর যথাযথ চিকিৎসা করেননি। তার ফলেই মৃত্যু হতে পারে কিংবদন্তি ফুটবল তারকার।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এজেকিয়েল গুস্তাভো ভেন্টোসি আদালতে জানিয়েছেন, মারাদোনার রক্ত ও মূত্রের নমুনায় কোনও অ্যালকোহল বা মাদক পাওয়া যায়নি। আর, পুলিশের ফরেনসিক টাস্ক ফোর্সের সদস্য সিলভানা দে পিয়েরো জানিয়েছেন, ম্যারাডোনার যকৃত (লিভার) বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে তাঁর অবস্থা 'সিরোসিসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ' ছিল। তার ফলেই ফুটবল কিংবদন্তির কিডনি 'অক্সিজেন সরবরাহের জন্য যথেষ্ট রক্ত পাচ্ছিল না।'
আরও পড়ুন- আইলিগে উঠে আইএসএলেও জায়গা করে নিতে মরিয়া ডায়মন্ড হারবার এফসি, আত্মবিশ্বাসী কোচ কিবু ভিকুনা
এই মৃত্যুর ঘটনায় যাঁরা বিচারের মুখোমুখি হতে বাধ্য হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আছেন মারাদোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক লেওপোল্ডো লুক, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অগাস্টিনা কসাচোভ। তাঁরাই ঠিক করে দিতেন যে মারাদোনাকে ঠিক কোন ওষুধ খেতে হবে।