Advertisment

মাদ্রিদ ফুটবলের বড় দায়িত্বে ইস্টবেঙ্গলের মারিও, সম্মান দিল ফিফাও

কলকাতায় কোচিং করিয়ে যাওয়া মারিও রিভেরা এবার মাদ্রিদ ফুটবলের 'প্রোফেসর'। বিশ্ববিখ্যাত কোচিং অ্যাকাডেমির নতুন দায়িত্বে এলেন তিনি। গর্বিত কলকাতার ফুটবল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
mario rivera

কোচেদের কোচ আপাতত মারিও রিভেরা (ফেসবুক)

কলকাতায় কয়েকমাস আগেও তিনি বর্তমান ছিলেন। এখন প্রাক্তনীদের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। তর্কাতীতভাবে তিনি কলকাতা ময়দানে কোচিং করিয়ে যাওয়া সহকারীদের মধ্যে জনপ্রিয়। আলেহান্দ্রোর প্রাক্তন ডেপুটি মারিও রিভেরা আপাতত কলকাতায় কোচিং করানোর থেকেও কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। তা-ও আবার নিজের দেশে বসেই। মাদ্রিদ ফুটবল ফেডারেশনের কোচেদের অ্যাকাডেমিতে আপাতত প্রোফেসর হিসেবে কাজ করছেন লাল-হলুদ সমর্থকদের প্রিয় মারিও। স্পেন থেকে নতুন পেপ গুয়ার্দিওলা, লুই এনরিকে, লুই আরাগোনেস, হুলেন লোপেতেগুইদের তুলে আনার দায়িত্ব আপাতত তাঁর।

Advertisment

ফুটবলার নয়, অ্যাকাডেমি থেকে নতুন কোচ তুলে আনার গুরুভার এবার তাঁর কাঁধে। স্পেনের রাজধানী শহরেরই বাসিন্দা তিনি। মাদ্রিদ ফুটবল তাঁর নখদর্পণে। স্পেনের ইউনিয়ন কোলাডো, লস ইয়েবেনেস, লেগানেজ দলের পাশাপাশি অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সি দলের দায়িত্ব সামলেছেন একসময়ে। তাই মাদ্রিদ অ্যাকাডেমির ফুটবল কর্তারা প্রিয় মারিও-র উপরে ভরসা রেখেছেন।

আরও পড়ুন হাবাসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ইস্টবেঙ্গল কোচের! শতবর্ষের আবহেই চমক ময়দানে

কাঁধে ইঞ্জেকশন নিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে ‘ঐতিহাসিক উপহার’! শতবর্ষে ক্লাবই ভুলল সেই নায়ককে

মাদ্রিদ থেকেই হোয়্যাটসঅ্যাপ কলে প্রাক্তন ইস্টবেঙ্গলের সহকারী বলছিলেন, "কোচেদের প্রোফেসর হিসেবে কাজ করছি। আমার বিষয় থাকছে ট্যাকটিক্স ও মেথডলজি। উয়েফা-এ, উয়েফা- বি এবং উয়েফা-প্রো কোচিং কোর্সে ট্রেনিং দেব আমি।" এখানেই শেষ নয়। মাদ্রিদে কোচেদের অ্যাকাডেমি সামলানোর সঙ্গেই ফিফার কাজও করছেন তিনি। মারিও রিভেরা জানালেন, "ফিফা খুব শীঘ্রই স্প্যানিশে একটি অ্যাপ লঞ্চ করতে চলেছে। সেখানে স্প্যানিশে কোচিং মেথডোলজি আর্টিকল লেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমাকে।"

mario rivera শহরে গতবছর মারিও রিভেরা (ফেসবুক)

আরও পড়ুন শতবর্ষের আমন্ত্রণে সাড়া দিলেন না অভিমানী কিংবদন্তি! শুরুর দিনেই তাল কাটল

কলকাতায় তিনি সরকারিভাবে অতীত। তবে এখনও হৃদয়ে প্রিয় ইস্টবেঙ্গল। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া বায়ো-তে এখনও জ্বলজ্বল করে 'কোয়েস ইস্টবেঙ্গল এফসি'। মারিও সেই হৃদয়ের টান থেকেই জানালেন, "ইস্টবেঙ্গলের মতো কোনও ক্লাব তাঁকে আমাকে এত আপন করে নেয়নি। কলকাতায় আবারও যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে।" তিনি এতটাই ইস্টবেঙ্গল-প্রেমী যে মাদ্রিদে বসেই নেট সার্ফিং করে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে দেখে ফেলেছেন ডার্বি। সেখানে ইস্টবেঙ্গল ড্র করে বেশ হতাশ তিনি। তবে সমর্থকদের বার্তা দিচ্ছেন মন খারাপ না করার, "ইস্টবেঙ্গল ঠিক জয়ের পথে ফিরবে। শুধু ধৈর্য ধরতে হবে।"

ফিফা, মাদ্রিদ অ্যাকাডেমির কাজের পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটের কাজও শুরু করে দিয়েছেন মারিও রিভেরা। মারিও বলছিলেন, "কোচিংয়ের জন্য নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করার পরিকল্পনা বহুদিন ছিল। সেখানে কোচিংয়ের ম্যানুয়াল সংক্রান্ত কনটেন্ট, কনসেপ্ট, ড্রিলস থাকছে। প্রাথমিকভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করছে স্পেনের এক ওয়েবমাস্টার।"

মারিও-র হাত ধরে তিকিতাকার দেশে নতুন কোনও পেপ গুয়ার্দিওলা তৈরি হয় কিনা, সময়ই উত্তর দেবে।

East Bengal Kolkata Football
Advertisment