ফের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে মেরি কমের দাপট। ৫১ কেজি ক্যাটেগরিতে শেষ আটে প্রতিপক্ষকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলেন তিনি। অষ্টম পদক জয় নিশ্চিত করার সঙ্গেসঙ্গেই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সফলতম বক্সারের নজিরও গড়ে ফেললেন তিনি। বলা ভাল, নিজের নজির নিজেই অতিক্রম করলেন তিনি। তিন নম্বর বাছাই মেরি বৃহস্পতিবার রাশিয়ায় বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে হারালেন কলম্বিয়ার ভ্য়ালেন্সিয়া ভিক্টোরিয়াকে। খেলার ফলাফল ৫-০।
তারপরেই প্রচারমাধ্যমে ম্যাগনিফিসেন্ট মেরি বলে দিয়েছেন, "পদক জয় নিশ্চিত করতে পেরে দারুণ লাগছে। তবে আমার লক্ষ্য আপাতত ফাইনালে পৌঁছনো। এই বাউটে দারুণ পারফরম্যান্স করেছি। তবে সেমিফাইনালে নিজের পারফরম্যান্স উন্নত করার দিকেই নজর থাকবে আমার।"
শনিবারের সেমিফাইনালে মেরি কমের সামনে অবশ্য কঠিন বাধা অপেক্ষা করছে। শুক্রবার রেস্ট ডে। তারপরের দিনে মেরির প্রতিপক্ষ দ্বিতীয় বাছাই ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়ন তুরস্কের বুসেনাজ কাকিরোগ্লু। যিনি আবার কোয়ার্টার ফাইনালের বাউটে হারালেন চিনের কাই জোংঝুকে।
বৃহস্পতিবারের পারফরম্যান্সের পরে মেরি কম আপাতত এই মার্কি টুর্নামেন্টের সবথেকে সফল বক্সার। কিংবদন্তি মেরি নিজের অষ্টম পদক জয় নিশ্চিত করার পরেই এই কৃতিত্ব গড়লেন। পুরুষ ও মহিলা দুই বিভাগ মিলিয়ে পদক জয়ের সংখ্যার নিরিখে মেরি কমই সেরা। পুরুষদের বিভাগে আপাতত সফলতম কিউবার ফেলিক্স স্যাভন। তাঁর দখলে ছটা সোনা এবং একটা রুপো।
টুর্নামেন্টে শুরুর আগে মেরির দখলে ছিল ছয়টা সোনা এবং একটা রুপো। অবশ্য তা অন্য ওজনের ক্যাটেগরিতে। ৫১ কেজি বিভাগে এবারেই প্রথম মেরি সেমিফাইনালে পৌঁছলেন। এই বিভাগে মেরির সেরা সাফল্য ছিল কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছনো। বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের পদক সংখ্যা বাদেও মেরির সাফল্যের ওয়ার্ডরোবে রয়েছে ২০১২ সালে অলিম্পিক ব্রোঞ্জ পদক, পাঁচটা এশীয় সেরার খেতাব, এশিয়ান ও কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয়। এই বছরেই গুয়াহাটিতে ইন্ডিয়া ওপেনে এবং ইন্দোনেশিয়ায় প্রেসিডেন্টস কাপে সোনা জিতেছেন তিনি। বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে পদকের ভাঁড়ার আরও সমৃদ্ধ হয় কিনা, সেটাই দেখার।
Read the full article in ENGLISH