Advertisment

বিশ্বরেকর্ড মেরি কমের, সোনার 'ছয়-লাপ'

বয়স ৩৫, তিন সন্তানের মা। অথচ ৪৮ কেজি বিভাগে ওখোতাকে হারাতে একটু ঘাম পর্যন্ত ঝরালেন না মেরি। ফলাফল ঘোষণার পর চোখের জলে অনুরাগীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন, ২০২০-র টোকিও অলিম্পিকেও স্বর্ণপদক ঘরে আনবেন তিনি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

রেকর্ড হবে, ধরেই নিয়েছিলেন সবাই। ষষ্ঠ স্বর্ণপদক তিনি পাবেনই। কিন্তু এ তো যে সে রেকর্ড নয়, এর ফলে বিশ্বসেরার শিরোপা অনায়াসে অধিকার করলেন মেরি কম, নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে আজ সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে ইউক্রেনের হান্না ওখোতাকে ৫-০ হারিয়ে।

Advertisment

এই কৃতিত্বের ফলে মেরি হয়ে গেলেন বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে সফলতম বক্সার (পুরুষ বা মহিলা), কিংবদন্তী কিউবান বক্সার ফেলিক্স সাভনের সঙ্গে একাসনে বসলেন তিনি। এই নিয়ে এই টুর্নামেন্টে সামগ্রিকভাবে এটি মেরির সপ্তম মেডেল - ছ'টি সোনা এবং একটি রূপো।

আরও পড়ুন: ইতিহাস থেকে এক ধাপ দূরে মেরি কম

বয়স ৩৫, তিন সন্তানের মা। অথচ ৪৮ কেজি বিভাগে ওখোতাকে হারাতে একটু ঘাম পর্যন্ত ঝরালেন না মেরি। ফলাফল ঘোষণার পর চোখের জলে তাঁর অনুরাগীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেন, যে ২০২০-র টোকিও অলিম্পিকেও স্বর্ণপদক ঘরে আনবেন তিনি।


"সবচেয়ে আগে আমার বন্ধুদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। ওরা ফাইনাল দেখতে এসেছে বলে। শুধু আমার জন্য, আমার এবং আমাদের দলের উৎসাহ বাড়ানোর জন্য," বলেন মেরি। "তাদের ভালোবাসা এবং সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। আমার ওদের দেওয়ার কিছু নেই, দেশের জন্য এই গোল্ড মেডেল ছাড়া। আমি এখনও আশা করছি, ভারতের হয়ে টোকিও ২০২০ তে সোনা জিতব।"

মেরির জয় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই উচ্ছ্বাসে আবেগে ভাসলো সোশ্যাল মিডিয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ক্রীড়া ও সিনেমা জগতের অজস্র তারকা, এবং সর্বোপরি সাধারণ মানুষ, সকলেই অভিনন্দন এবং অভিবাদন জানান লড়াকু এই বক্সারকে।


মণিপুরী এই বক্সারের বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম মেডেল জয় ২০০১ সালে, যে বছর শুরু হয় এই টুর্নামেন্ট। রূপো জিতেছিলেন সেবার। এরপরের পাঁচটি টুর্নামেন্টে তিনি পরপর মেডেল পান - ২০০২, ২০০৫, ২০০৬, ২০০৮ (রূপো) এবং ২০১০ সালে।

mary kom
Advertisment