Md Shami, IND vs BAN match, Champions Trophy: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এ ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে মহম্মদ শামি ১৩২ ম্যাচে ২০০ ওয়ানডে উইকেটে শিকারের মাইলফলক স্পর্শ করলেন। তিনি ম্যাচ সংখ্যার দিক থেকে ভারতের দ্রুততম বোলার হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন। এর, আগের রেকর্ড ছিল অজিত আগারকারের। তিনি ১৩৩ ম্যাচে ওই মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন।
এই তালিকায় বিশ্বে একনম্বর মিচেল স্টার্ক। শামি বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি কিংবদন্তি সাকলাইন মুশতাকের সঙ্গে যুগ্মভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম হলেন। মিচেল স্টার্ক এই ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন মাত্র ১০২ ম্যাচে। এদিনের ম্যাচে শামি পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। তারপরই খুশিতে দুই হাত উঁচু করে আকাশের দিকে তুলে দেন। সতীর্থরা মাঠেই তাঁকে আনন্দে ঘিরে ধরেন। বৃহস্পতিবার শামির আইসিসি ইভেন্টে ৬০তম ওয়ানডে উইকেট নেওয়াও হয়ে গেল। যার ফলে, তিনি জাহির খানের ৫৯ উইকেটের রেকর্ডও ভেঙে দিলেন। শামি মাত্র ১৯ ম্যাচে আইসিসি টুর্নামেন্টে ৬০ উইকেট নিলেন।
শামি ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ফিরেছেন। জসপ্রীত বুমরাহর অনুপস্থিতিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দলের পেস বিভাগের মূল দায়িত্ব শামির কাঁধেই। বৃহস্পতিবার ম্যাচের প্রথম ওভারেই শামি সৌম্য সরকারকে আউট করেন। সৌম্য কেএল রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজকে শুভমান গিল স্লিপে ক্যাচ নেন। ২০০তম উইকেটটি ছিল জাকির আলির। জাকির বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। চতুর্থ উইকেটে শামি তানজিম হাসান সাকিবকে আউট করেন এবং পঞ্চম উইকেটে তাসকিন আহমেদ শামির বলে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।
আরও পড়ুন- হ্যাটট্রিক করতেন অক্ষর, ক্যাচ ফসকানোর দায় নিয়ে মাঠেই ক্ষমাপ্রার্থনা রোহিতের
শামির এই সাফল্য অর্জনের পর টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, 'আমাদের একমাত্র ইচ্ছে ছিল শামি যেন ভারতের জার্সিতে ফিরে আসে। ও উইকেট নেবে কি না সেটা তখন আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। আমরা শুধু ওকে আবার ভারতের হয়ে খেলতে দেখতে চেয়েছিলাম।' শামি তাঁর চোট থেকে ফিরে আসার লড়াই সম্পর্কে বলেন, 'বিশ্বকাপে দারুণ ফর্মে থাকা অবস্থায় হঠাৎ অস্ত্রোপচারের দরকার হয়ে পড়েছিল। চিকিৎসককে প্রথম প্রশ্নই করেছিলাম— আমি কবে মাঠে ফিরতে পারব? ডাক্তারবাবু বলেছিলেন, প্রথমে হাঁটতে শেখো। তারপর দৌড়ও। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট এখনও অনেক দূরে।'