গত মঙ্গলবারই শাকিব আল হাসানকে দু'বছরের জন্য় ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। একাধিকবার জুয়াড়ির থেকে ম্য়াচ গড়াপেটার প্রস্তাব পেয়েও কেন বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার ও বাংলাদেশের ক্য়াপ্টেন আইসিসি-র দুর্নীতি দমন শাখাকে রিপোর্ট করেননি? এই অপরাধেই শাকিবের ঘাড়ে নির্বাসনের খাঁড়া নেমে এসেছে।
শাকিবের আরও বেশি শাস্তি পাওয়া উচিত বলেই মন্তব্য় করেছিলেন মাইকেন ভন। আর এর পরেই টুইটারাত্তিরা ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ককে ধুয়ে দিয়েছেন। বিষয়টা রীতিমতো যুদ্ধের পর্যায় নিয়ে গিয়েছেন ভন। তিনিও একের পর এক টুইট করেই গিয়েছেন।
আরও পড়ুন-এখনই কাজ শুরু করব নাকি আইপিএল পর্যন্ত অপেক্ষা করব, জুয়াড়ির টেক্সট শাকিবকে
শাকিবের নির্বাসনের প্রসঙ্গে ভন তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে লিখেছিলেন, "শাকিবের জন্য় আমার কোনও সহানুভূতি নেই। এই সময় দাঁড়িয়ে প্রতিটা প্লেয়ারকে বলে দেওয়া হয় যে, তারা কী করতে পারে আর কী পারে না। কিছু হলেই সোজাসুজি রিপোর্ট করতে হয়। শাকিবের দু'বছরের নির্বাসন যথেষ্ট নয়, আরও লম্বা হওয়া উচিত ছিল।"
টুইটারাত্তিরা ভনকে এক হাত নেওয়ার পরেও থামেননি তিনি। সাফ বলছেন যে, এ বিষয়ে তিনি বিন্দুমাত্র বরদাস্ত করবেন না। এমনকী ভন ও শাকিবের কেরিয়ারের পরিসংখ্য়ান তুলেও টুইটারে কথা হয়েছে। ভন তা মেনে নিয়েও টুইটারে নিজের বক্তব্য় থেকে সরে আসেননি। নিজের বক্তব্য়ের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি এও বলেন, "আমি গড়পত্তা এটা মেনে নিচ্ছি। কিন্তু যাই হোক আমি দুর্নীতিগ্রস্থ নই।"
ভনের বিরুদ্ধে পক্ষপাততুষ্টের অভিযোগ এনেছেন টুইটারাত্তিরা। তাঁদের দাবি স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্য়ামেরন ব্য়ানক্রফটদের নির্বাসনের সময় ভনের মনে হয়েছিল লঘু পাপে গুরু শাস্তি দেওয়া হয়েছে। অথচ শাকিবের বেলাতেই হিসেবটা উল্টে গেল।
আরও পড়ুন-শাকিবের জন্য মুশফিকুর-মোর্তাজার পোস্ট, আবেগ সামলাতে পারলেন না কেউই
নির্বাসনের পর শাকিবের পক্ষে আর আসন্ন ভারত সফরে অংশ নেওয়া সম্ভব নয়। শাকিব আগামী বছর আইপিএল ও টি-২০ বিশ্বকাপেও (১৮ অক্টোবর-১৫ নভেম্বর) খেলতে পারবেন না। শাকিব আবার ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন আগামী বছর ২৯ অক্টোবর।