পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রতিবাদে সরব পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (পিসিএ)। মোহালির আইএস বিন্দ্রা স্টেডিয়াম থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো ইমরান খান, জাভেদ মিঁয়াদাদ, শহিদ আফ্রিদি ও ওয়াসিম আক্রমের মতো ১৫ জন পাক ক্রিকেটারের ছবি।
চণ্ডীগড়ের এই স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত একটি টেস্ট, সাতটি ওয়ান-ডে ও দু'টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছে। এরমধ্যে রয়েছে ২০১১-ঐতিহাসিক বিশ্বকাপ সেমিফাইনালও। এই মাঠে বসেই একসঙ্গে খেলা দেখেছিলেন ভারত ও পাকিস্তানের প্রাক্তন দুই প্রধানমন্ত্রী-মনমোহন সিং ও ইউসুফ রাজা গিলানি। এই ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়েই ভারত ফাইনালের টিকিট সংরক্ষণ করেছিল।
আরও পড়ুন: ভারতে পিএসএল দেখাবে না আইএমজি-রিলায়েন্স, পাল্টা পাকিস্তানের
সেই ১৯৯৪ থেকে এই আইএস বিন্দ্রা স্টেডিয়াম স্টেডিয়ামের সফররত দলের ড্রেসিংরুম ও বারান্দায় শোভা পেত পাক ক্রিকেটারদের ছবি। গত রবিবার পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের আধিকারিকরা বৈঠকে বসেছিলেন। তারপরেই ছবি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পিসিএ-র সম্মানীয় সচিব আরপি সিংলা বলেন. "শহিদ সিআরপিএফ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ছবি তুলে নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমেই নেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশের সঙ্গে রয়েছি। ভবিষ্যতে যদি পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের উন্নতি হয় বা ভারত সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলার নীতিতে কোনও পরিবর্তন আনে, তাহলে আবার তাঁদের ছবি লাগানো হবে এখানে।"
ভারতের প্রাক্তন অলরাউন্ডার রীতেন্দর সিং সোধী এ প্রসঙ্গে বললেন, "একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমি বিশ্বাস করি পিসিএ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের স্বার্থ সবার ওপরে। যবে এরকম আক্রমণ বন্ধ হবে। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে পাকিস্তানের সমর্থন থাকবে না, তখনই ওদের সঙ্গে খেলার কথা ভেবে দেখা যাবে।"
অন্যদিকে আইএমজি-রিলায়েন্স সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারা ভারতে পাকিস্তান সুপার লিগ সম্প্রচার করবে না। এই দু'টো ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। সেদেশের ক্রিকেট বোর্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ওয়াসিম খান বলছেন, "পিএসএল-এর সম্প্রচার তুলে নেওয়ায় ভারতীয় ক্রিকেট ফ্যানদের বঞ্চিত করা হলো। আমরা জানি যে, পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মতো অনান্য কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের ছবিও ঐতিহাসিক ভেন্যু থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখের।" ওয়াসিম আরও জানিয়েছেন যে, আগামী মাসে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আইসিসি-র বৈঠকে এই বিষয়গুলো নিয়ে তাঁরা কথা বলবেন।
Read the full story in English