গোপনে বাগদান সেরেছেন সিরাজ, বান্ধবীর কথা জানাজানি হতেই স্বীকার তারকার

সদ্য শেষ হওয়া অস্ট্রেলীয় সফরের অন্যতম বড় আবিষ্কার মহম্মদ সিরাজ। টেস্টে অভিষেক ঘটিয়েই ভেলকি দেখিয়েছেন তিনি।

সদ্য শেষ হওয়া অস্ট্রেলীয় সফরের অন্যতম বড় আবিষ্কার মহম্মদ সিরাজ। টেস্টে অভিষেক ঘটিয়েই ভেলকি দেখিয়েছেন তিনি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

এতদিন অগোচরেই ছিলেন। এবার মহম্মদ সিরাজ স্বীকার করে নিলেন বান্ধবী তাঁর জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। অস্ট্রেলীয় সফর থেকে কিছুদিন আগেই দেশে ফিরেছেন। বাড়িতে ঢোকার আগে বাবার সমাধিস্থলে এসে ফুল ছড়িয়ে এসেছিলেন। সেই খবর পুরোনো।

Advertisment

তবে স্থানীয় এক প্রচারমাধ্যমে সিরাজ স্বীকার করে নেন বান্ধবীর অবদানের কথা। সিরাজ বলেছেন, "বাবার মৃত্যু কঠিন পরিস্থিতি তুলে ধরেছিল আমার সামনে। আমি মায়ের সঙ্গে কথা বলে নিজেকে মানসিকভাবে চাঙ্গা করতাম। বাবার স্বপ্ন যাতে পূরণ হয়, সেই চেষ্টা করে গিয়েছি সবসময়। পরিবারের তরফ থেকে পুরো সমর্থন পেয়েছি। বাবার যা ইচ্ছা ছিল, সেটা পরিপূর্ণ করতেই হবে, সেই ভাবনা ছিল। সেটাই হয়েছে। আমার বাগদত্তাও আমাকে নিরন্তর সমর্থন জুগিয়ে গিয়েছে।"

আরো পড়ুন: দেশের ফিরেই বাবার সমাধিতে সিরাজ, কান্নায় ভেঙে পড়লেন আবার

Advertisment

সিরাজের এমন বিবৃতির পরেই প্রকাশ্যে আসে তাঁর সম্পর্কের বিষয়ে। এতদিন তাঁর রিলেশনশিপ নিয়ে সেভাবে কিছু বলেননি। এই বিবৃতির পরেই বোঝা যায় 'স্টেবল রিলেশনশিপে' রয়েছেন তারকা পেসার। তবে বান্ধবীর পরিচয় খোলসা করেননি তিনি। জানা গিয়েছে, সিরাজের বাগদান পর্বও হয়ে গিয়েছে। এই বছরেই বিয়ে হওয়ার কথা সিরাজের। তবে বাবার মৃত্যু সমস্ত পরিকল্পনা এলোমেলো করে দিয়েছে সিরাজকে।

আরো পড়ুন: প্রয়াত বাবা অটো চালাতেন, ছেলে সিরাজ বিএমডব্লিউ কিনলেন দেশে ফিরেই

সফর শুরুর সময়েই চরমতম দুসংবাদ পেয়েছিলেন তিনি। গত নভেম্বরের ২০ তারিখ অস্ট্রেলিয়ায় বসেই সিরাজ খবর পান তাঁর বাবা মহম্মদ ঘাউসের মৃত্যু হয়েছে। তারপরেই বোর্ডের তরফে তাঁকে দেশে ফিরে এসে বাবার শেষকৃত্যে যাতে অংশ নিতে পারেন, তাঁর ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দেয় বোর্ড। তবে কোভিড প্রোটোকল ভেঙে দেশে ফিরে আসেননি। বোর্ডের প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে দলের সঙ্গেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তারকা পেসার।

তারপর দেশে ফিরে এসে সিরাজ মায়ের অবদানের কথা স্বীকার করে নেন, "আমি বাড়ি ফেরার আগে বাবার সঙ্গে কিছু সময় কাটাতে চেয়েছিলাম। তাই বিমানবন্দর থেকেই সরাসরি বাবার সমাধিতে যাই। বাবার সামনে কথা বলতে পারিনি। তবে গোলাপ ছড়িয়ে এসেছি। তারপর বাড়িতে এসে মায়ের সঙ্গে দেখা করি। মা কান্নায় ভেঙে পড়েছিল। আমি মাকে সান্ত্বনা দিয়ে কাঁদতে বারণ করি। মা আমার ফেরার জন্য অপেক্ষায় ছিল। দিন গুনছিল।"

সিরাজ অস্ট্রেলিয়া সফর শেষ করেছেন রূপকথার মত। শেষ তিনটে টেস্টে অংশ নিয়ে তুলে নিয়েছেন ১৩ উইকেট। প্যাট কামিন্স, জোশ হ্যাজেলউডের পর সিরিজের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছেন। তাও একটি ম্যাচ কম খেলে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Indian Cricket Team