মহামেডান ফের চমক দিল। ইস্ট-মোহনে খেলা তরুণ গোলকিপার রফিক আলি সর্দারকে তুলে নিল আসন্ন মরসুমের জন্য। আগামী দুই মরসুমের জন্য সাদা-কালো ব্রিগেডে চুক্তিবদ্ধ হলেন তিনি।
গরিব পরিবারের সন্তান রফিক। জীবনে দারিদ্র্যের অভিশাপ সামনে থেকে প্রত্যক্ষ করেছেন। উত্থান ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের যুব সিস্টেম থেকে। তারপরে পাড়ি জমান টাটা ফুটবল একাডেমিতে। নিজেকে আরও মাজা ঘষা করে পরিশীলিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ATKMB-কে জোড়া গোলে নাচিয়েছিলেন সুয়ারেজের দেশের তারকা! আচমকা মেয়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়লেন
টাটা ফুটবল একাডেমি থেকে নাম লেখান জামশেদপুর এফসিতে। হিরো সুপার কাপে জামশেদপুরের হয়ে আত্মপ্রকাশ করেন এফসি গোয়ার বিপক্ষে। দলের একনম্বর গোলকিপার সুব্রত পাল লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার পরে সাইরত কিমার বদলে হিসাবে তাঁকে মাঠে নামানো হয়। ২০১৮/১৯ মরসুমের আগে রফিককে রিটেন করে জামশেদপুর। সেই মরশুমেই রফিক ইস্পাত নগরীর ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে আইএসএলে অভিষেক ঘটান লিগের শেষ ম্যাচ বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে। ২০১৯/২০ মরশুমেও জামশেদপুরে ছিলেন রফিক। খেলেন তিনটে ম্যাচ।
২০২০-এ জামশেদপুরের পাততাড়ি গুটিয়ে রফিক চলে আসেন ইস্টবেঙ্গলে। তবে ইস্টবেঙ্গলে বেশিদিন থাকতে পারেননি তিনি। রবি ফাউলার রিলিজ করে দেওয়ার পরে মহামেডানের তৎকালীন কোচ হোসে হাভিয়া সই করান তারকাকে।
এর আগে শঙ্কর রায়, সামাদ আলি মল্লিক, অভিষেক আম্বেকর, আজহারউদ্দিন মল্লিকের মত ঘরোয়া ফুটবলের নামি তারকাকে সই করিয়েছে আন্দ্রে চেরনিশভের দল। বিদেশি হিসাবে তাজিকিস্তানের সুপার লিগে খেলা নুরুদ্দিন দারভোনভ, সেনেগালের জাতীয় দলের ডিফেন্ডার ওসমানে এনদিয়ায়ে সই করিয়েছে। তাজিক-সেনেগাল স্টপার জুটি এবার অনেক স্ট্রাইকারদের ত্রাস হয়ে উঠতে পারে। এর মধ্যেই ইস্ট-মোহনের গন্ধ থাকা গোলকিপারকে সই করিয়ে দলগঠনে নিজের শক্তির পরিচয় দিল মহামেডান।