মোহনবাগান- ২ (ড্যানিয়েল সাইরাল, সালভা)
টিএস স্পোর্টিং ক্লাব- ০
এদিন হারলেই বিদায় নিশ্চিত ছিল। তবে শেখ কামাল কাপে মালদ্বীপের টিসিএসসি-কে ২-০ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টে টিকে থাকল মোহনবাগান। প্রথম ম্যাচে ইয়ং এলিফ্য়ান্টসের বিপক্ষে এগিয়ে থেকেও হেরে ফিরতে হয়েছিল বাগানকে। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন বেইতিয়া। সেই ম্যাচের একাদশ থেকে পাঁচটা পরিবর্তন ঘটিয়ে এদিন দল সাজিয়েছিলেন কোচ কিবু ভিকুনা। ব্যাপক পরিবর্তন বৃথা যায়নি। দুই অর্ধে ড্যানিয়েল সাইরাস এবং সালভা চামোরো গোল করে মোহনবাগানের এদিন জয় নিশ্চিত করেন। বিদেশি টুর্নামেন্টে প্রথম ৩ পয়েন্ট অর্জন করে কোচ কিবুর মুখে হাসির ঝলকানি।
এদিনও বাগান ফুটবলাররা মন্দের ভাল। রক্ষণ ও মাঝমাঠের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান। এখনও তালমিল গড়ে ওঠেনি। প্রতিপক্ষ দল অবশ্য একদমই দুর্বল। গতবারে মালদ্বীপের এই দলটিই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শেখ কামাল কাপে। তবে সেই দলের বহু ফুটবলার বর্তমান দলে নেই। কোচও নতুন। একমাত্র বিদেশি বলতে নেপালের বিমল মাগার। দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেও মোহনবাগানের দুর্বলতা অনেকটাই প্রকট হল।
বাগানের এদিন দুটো গোলেই জুলেন কলিনাসের ছোঁয়া। প্রথম গোলে কলিনাসের পাস থেকেই গোল করে যান ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগোর হয়ে জাতীয় দলে খেলা ড্যানিয়েল সাইরাল। শুরুর ৪ মিনিটেই গোল খেয়ে মালদ্বীপের দলটি হতোদ্যম হয়ে পড়ে। দ্বিতীয়ার্ধে বক্সের জটলার মধ্যেই কলিনাসের শট প্রতিপক্ষ গোলকিপার প্রতিহত করে দেওয়ার পরে রিটার্ন বলে গোল করে যান সালভা চামোরো। প্রথমার্ধে ব্রিটো ও সুহের ভিপি গোল মিস না করলে বিরতিতেই গোলের ব্যবধান বাড়িয়ে ফেলতে পারত বাগান।
বিরতির পরে চামোরোর শট বারে লেগে ফিরে আসে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য চামোরোর গোলেই ৬৪ মিনিটে ২-০ করে বাগান। মালদ্বীপের ক্লাবটিকে হারিয়ে হারানো আত্মবিশ্বাস অনেকটাই ফিরে পেল কিবু ভিকুনা ব্রিগেড। ২৫ তারিখে মোহনবাগানের পরের ম্যাচ চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে।
মোহনবাগান- দেবজিৎ, চুলোভা, ফ্রান মোরান্তে, গুরজিন্দর কুমার, ড্যানিয়েল সাইরাস, শিল্টন ডিসিলভা, ব্রিটো পিএম, জোসেবা বেইতিয়া, জুলেন কলিনাস, সালভা, সুহের