Mohun Bagan: মোহনবাগান ক্লাবে নির্বাচনের দামামা ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে। শোনা যাচ্ছে, আগামী ২২ জুন নাকি ক্লাবের নির্বাচনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হতে পারে। ইতিমধ্যে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছেন দেবাশিস দত্ত (Debasish Dutta)। বৃহস্পতিবার (২২ মে) একটি সাংবাদিক বৈঠক আয়োজন করা হয়েছেন। সেখানেই মোহনবাগান ক্লাবের বর্তমান সচিব বললেন, 'আসন্ন নির্বাচন নিয়ে একেবারেই কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি হচ্ছে না। একটি পক্ষ থেকে কাদা ছোঁড়া হচ্ছে। আমি সৃঞ্জয়ের (srinjoy bose) বিরুদ্ধে একটাও কথা বলিনি।' সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, 'আমরা শুধুমাত্র ক্লাবের কর্মকাণ্ড এবং সাফল্যকেই তুলে ধরছি। কাউকে ছোট করে কোনওদিন বড় হওয়া যায় না। আমরা কাউকে ছোট করতে এখানে বসে নেই।' বাগান সচিবের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে জলঘোলা হতে শুরু করেছে।
Mohun Bagan FIFA ban: ফিফার কড়া শাস্তিতে মোহনবাগানে বজ্রপাত! কামিংসের জন্য বিপদে সবুজ-মেরুন শিবির
কেন উঠল এই 'কাউকে ছোট করা'র মন্তব্য? আসলে গত শুক্রবার মোহনবাগান ক্লাবের বর্তমান সচিব দেবাশিস দত্ত জানিয়েছিলেন যে সৃঞ্জয় বসুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে চান। একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যাবতীয় ঝামেলার সূত্রপাত হয়েছিল। এমনকী, সংশ্লিষ্ট কাজের সম্পাদক সৃঞ্জয় বসুর বিরুদ্ধে মামলাও করেন তিনি। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেবাশিস দত্তর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সৃঞ্জয় বসু। তিনি বলেছিলেন, 'ইন্টারভিউ দেখার পর দেবাশিস দার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। খুব চাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তাই গুলিয়ে ফেলেছে পরপর দুটো বাংলা সংবাদপত্র মোহনবাগান নির্বাচন নিয়ে খবর বেরিয়েছে। একটা কাগজ সিপিএম নিয়ে লিখেছিল। একটা কাগজ বিজেপি নিয়ে লিখেছে। এটা খবরের অ্যাঙ্গেল। যথেষ্ট যুক্তি আছে এর পেছনে। গুলিয়ে ফেলছেন কোন বাংলা কাগজে কী বেরিয়েছে। এখন নির্বাচনের চাপে আছে, তাই এই ভুল করেছে।'
Mohun Bagan Election: কবে-কোথায় মোহনবাগানের নির্বাচন? প্রকাশ্যে এল দিনক্ষণ
এরপর সৃঞ্জয় আরও দাবি করেছিলেন, 'উনি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার পরিবারে ঢুকতে চাইছেন। এই পাপ ওনাকে ছাড়বে না। ভাইয়ে ভাইয়ে ঝামেলা লাগানোর চেষ্টা করছেন।' এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই দেবাশিস দত্ত এদিন 'কাউকে ছোট করা'র মন্তব্যটি উল্লেখ করেন। যদিও সঙ্গে তিনি এও যোগ করেছেন, টুটু বসু যদি মোহনবাগান ক্লাবের নির্বাচনে দাঁড়াতে চান, তাহলে তাঁর কোনও সমস্যা নেই। তিনি নিজে এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন। কিন্তু, যদি ৬ মাস পর নিজের ছেলে সৃঞ্জয় বসুকে সচিব পদে বসাতে চান, তাহলে সেটা তিনি মেনে নিতে পারবেন না। দেবাশিস দত্ত'র সাফ কথা, টুটু বসুকে এই ব্যাপারে লিখিত জবানবন্দি দিতে হবে যে তিনি নিজের ছেলেকে সচিব পদে বসাবেন না।