Mohun Bagan Election: হাতে আর খুব বেশি সময় বাকি নেই। মোহনবাগান নির্বাচনের ঢাকে ইতিমধ্যে কাঠি পড়ে গিয়েছে। দেবাশিস দত্ত (Debasish Dutta) এবং সৃঞ্জয় বসু (srinjoy bose ) শিবির নেমে পড়েছে নির্বাচনী প্রচারে। তবে বাগানের এই নির্বাচনে নিজের ভোট দিতে পারবেন না সুব্রত ভট্টাচার্য (Subrata Bhattacharya)। এই ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে যারপরনাই অভিমানের সুর শুনতে পাওয়া গেল তাঁর গলায়।
কী হয়েছে ব্যাপারটা? আসলে মোহনবাগানের 'রত্ন' সুব্রত ভট্টাচার্য নির্দিষ্ট সময়ে তাঁর সদস্যপদ রিনিউ করাননি। তাই বাতিল হয়ে গিয়েছে মেম্বারশিপ কার্ডটাও। আর সেকারণেই তিনি আসন্ন নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না। বিষয়টা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তর জলঘোলা শুরু হয়েছে।
Mohun Bagan Transfer Update: ডিফেন্স তো নয়, যেন 'চিনের পাঁচিল'! এই তারকা ফুটবলারকে সই করাচ্ছে মোহনবাগান?
অভিমানের সুর ঝরে পড়ল সুব্রতর গলায়
এই ব্যাপারে সুব্রত ভট্টাচার্য বললেন, 'এই অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য দায়ী মোহনবাগান কর্তারাই। ওরা তো একবার অন্তত বিষয়টা আমাকে বলতে পারত! কিন্তু, কেউ কোনও কথাই বলেনি। আর সেটাই আমার সবথেকে খারাপ লাগছে। গত ১৭ বছর এই ক্লাবের জন্য নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েছি। বেশ কয়েকবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের থেকে প্রস্তাব পেয়েছিলাম। কিন্তু, হাজার প্রলোভনেও সেই ফাঁদে পা বাড়াইনি। আজ সেইসব আত্মত্যাগের কথা বর্তমান কর্তারা ভুলে গিয়েছেন। এটা আপাদমস্তক ম্যানেজমেন্টেরই ব্যর্থতা।'
Mohun Bagan News in Bengali: এই স্প্যানিশ ফুটবলারকে সই করাচ্ছে মোহনবাগান? জল্পনা আপাতত তুঙ্গে
ম্যানেজমেন্ট বলতে যে তিনি দেবাশিস বসু শিবিরকেই টার্গেট করেছেন, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। কয়েকদিন আগেই নির্বাচনী প্রচারে সৃঞ্জয় এবং টুটু বসুর পাশে দেখা গিয়েছিল সুব্রত ভট্টাচার্যকে। বসু পরিবারকে তিনি প্রশংসায় ভরিয়েও দিয়েছিলেন। এবার সুব্রত ভট্টাচার্যের ভোট বাতিলের ঘটনায় মুখ খুলেছেন বাগানের প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসু।
Mohun Bagan vs East Bengal: মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের জন্য বড় খবর, কলকাতা লিগে একই গ্রুপে দুই প্রধান
তিনি বললেন, 'এটা অত্যন্ত দূর্ভাগ্যজনক ঘটনা যে সুব্রত ভট্টাচার্য মোহনবাগানে ভোট দিতে পারবেন না। ক্লাবের জন্য যাঁরা নিজেদের জীবন উজাড় করে দিয়েছেন, তাঁদের নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা করার সময় এসেছে।' এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ২০১৫ সালে মোহনবাগান নির্বাচনে ফুটবল সচিব পদে প্রার্থী হয়েছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্য। অথচ ১০ বছর পর তিনিই ভোটাধিকার হারালেন।