মোহনবাগান: ১ (শুভ ঘোষ)
এরিয়ান: ২ (এজোগো এমা, সন্দীপ ওরাঁও)
আগের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল নিজেদের ঘরের মাঠে হারায় তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গিয়েছিল। সেই রেশ এখনও চলছে। ইস্টবেঙ্গলের পরে এবার হারতে হল মোহনবাগানকেও। পিয়ারলেসের কাছে ১-২ এ হেরে কলকাতা লিগে চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ফের একবার পিছিয়ে পড়ল সবুজ মেরুন ব্রিগেড।
কল্যাণীতে এদিন তিনটে গোলই দ্বিতীয়ার্ধে। আগের ম্যাচে মোহনবাগান জেতার পরে এদিন পূর্ণশক্তির একাদশই নামিয়েছিলেন বাগান কোচ কিবু ভিকুনা। তবে শুরু থেকেই মোহনবাগানকে চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলে দেয় এরিয়ান। কুনাল, এমানুয়েলরা প্রথম থেকেই মোহনবাগানকে চেপে ধরেছিল। এরিয়ান যেমন জোড়া কর্ণার পেয়েও সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেনি। তেমনই মোহনবাগান সুবিধেজনক জায়গায় ফ্রি-কিক পেয়েছিল। চামোরোর ফ্রিকিক অবশ্য এরিয়ান রক্ষণকে টপকাতে পারেনি। বিরতি পর্যন্ত গোল করতে পারেনি কোনও দলই।
দ্বিতীয়ার্ধে এরিয়ান অবশ্য আরও চাপে ফেলে মোহনবাগানকে। বিরতির পরেই সুরাবুদ্দিনকে তুলে ব্রিটোকে নামানো হয়েছিল মাঝমাঠে। তবে মোহনবাগানের মাঝমাঝ এদিন একদম ডাঁহা ফেল। পাশাপাশি ব্লকিংয়েও এদিন সবুজ মেরুন ফুটবলাররা ব্যর্থ। ফলে সহজেই বল নিয়ে প্রতিপক্ষ অর্ধে চলে আসছিলেন এরিয়ান ফুটবলাররা।
এমন অবস্থাতেই ৬৩ মিনিটে মোহনবাগানকে পিছিয়ে দেয় এজোগো এমার গোল। প্রথম গোলের পরে জোড়া পরিবর্তন ঘটান ভিকুনা। চামোরো ও সুহেরকে তুলে যথাক্রমে নামান ফ্রান গঞ্জালেজ এবং শুভ ঘোষকে। তবে এতেও খেলার মোড় ঘোরেনি। উল্টে, ফ্রি-কিক থেকে বল পেয়ে এরিয়ানের হয়ে ২-০ করে যান সন্দীপ ওরাঁও। ৮৯ মিনিটে মোহনবাগানের স্বান্ত্বনাসূচক গোল করেন শুভ ঘোষ।
মোহনবাগান: দেবজিৎ, চুলোভা, মোরান্তে, কিমকিমা, গুরজিন্দর, সাহিল, বেইতিয়া, সুরাবুদ্দিন (ব্রিটো), নাওরেম, সুহের (শুভ ঘোষ), চামারো (ফ্রান গঞ্জালেজ)
এরিয়ান: কাদের, দীপক, দিব্যেন্দু, সন্দীপ, চিকা ওয়ালি,রাজীব, শাহরুখ, কুনাল, এমানুয়েল, কুটি