শেষ ২৪ ঘণ্টায় একটি খবরই ময়দানের উত্তাপ বাড়িয়েছে। শনিবার বার্ষিক সাধারণ সভাকে (এজিএম) কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠা মোহনবাগানকে নিয়ে চর্চা চলছে জোর । ক্লাবের ইতিহাসে এ ঘটনা প্রায় বেনজির বললেই চলে। টুটু বসু বনাম অঞ্জন মিত্র-র লড়াইয়ের রেশ এখনও কাটেনি। রবিবার অর্থাৎ আজও তা অব্যাহত। এদিন এক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ক্লাবের সচিব অঞ্জন মিত্র, ফুটবল সচিব স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় (বাবুন) ও প্রাক্তন ফুটবলার তথা টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য শিশির ঘোষ। ঘটনাচক্রে বাগানের এই তিন পদাধিকারীই হাজিরছিলেন গতকালের এজিএম-এ।
অঞ্জন মিত্র এদিন নাম না-করেই টুটু গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন। বাগানের বর্ষীয়ান প্রশাসনিক কর্তা সাফ বলে দিলেন যে, এই মুহুর্তে ক্লাবের সঙ্গে জড়িত এমন অনেকেই রয়েছেন যাদের সদস্য হওয়ারও নূন্যতম যোগ্যতা নেই। গতকালের প্রসঙ্গে অঞ্জন বাবুর বক্তব্য, “মুষ্টিমেয় ২০ জন মিলেই গতকাল এজিএম-এ অসভ্যতা করেছে। এই নিয়ে কথা বলতে গেলেই আমার তিক্ততা বাড়বে। কালকে যা পরিস্থিতি হয়েছিল তাতে ভেবেছিলাম ক্লাবই ছেড়ে দেব। কিন্তু পরে ভাবলাম ওই কুড়ি জনের অসভ্যতার জন্য আমি কেন ক্লাব ছাড়ব! মেম্বার হওয়ার যোগ্যতাও নেই যাদের তারাও রয়েছে ক্লাবে।” টুটু বসু ও সৃঞ্জয় বসুদের নাম না-করেই বিষোদগার করেন তিনি।” অঞ্জন বাবু এও জানান যে, তিনি যৌথ ভাবেই টুটু বসুদের সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা ফলপ্রসূ হয়নি। তিনি যা করেছেন তা আইনি পথেই করেছেন বলেও দাবি করেন। ভবিষ্য়তেও আইনি পথেই একজিকিউটিভ কমিটির সঙ্গে কথা বলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বলেই জানান অঞ্জন।
আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ মোহনবাগানের এজিএম; ধাক্কাধাক্কি থেকে হাতাহাতি, বাদ গেল না কিছুই
এজিএম-এর ঘটনা আর মনে রাখতে চান না শিশির ঘোষ। তিনি বলছেন, “গতকাল যা হয়েছে তা কোনও ক্লাবের পক্ষেই কাম্য নয়। এই ঘটনায় রীতিমতো কষ্ট পেয়েছি। চেষ্টা করছি রাতটা ভুলে যেতে। আমি চাই কোনও ক্লাবেই যেন এরকম ঘটনা না-ঘটে।’’ শিশিরের সুর ধরেই বাবুন বলছেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা এটা। ২৩ বছর থেকে ক্লাবে আসছি। আমি নিজে থেকে টুটু বসুর জন্য বসার চেয়ার করে দিয়েছিলাম। তাঁকে আর অঞ্জনকে এক করতে চেয়েছিলাম। আমি চাই প্রশাসনে যেই আসুক সেই যেন ক্লাবের জন্য কাজ করে। চিন্ময়ের ওপর চড়াও হওয়া থেকে কল্যাণ চৌবেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া, কোনওটাই মেনে নেওয়া যায় না। আমি এই ঘটনার ধিক্কার জানাচ্ছি।”
গতকালের এজিএম-এ চেয়ারের প্রশ্নটা বারবারই এসেছে। ক্লাবের বাইরে স্টেজ বেঁধেই সভা শুরু হয়েছিল। সেখানে সভাপতির নামাঙ্কিত চেয়ার না-থাকাতে নিচে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল টুটু বসুকে। সেসময়ে মঞ্চে ছিলেন বাবুনই। নিচ থেকে স্টেজে চেয়ার তুলে টুটু বসুকে বসানো হয়। টুটু বসুর অভিযোগ, তিনি ক্লাবের সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও তাঁর জন্য কোনও চেয়ার বরাদ্দ করা হয়নি। অঞ্জন মিত্রের কমিটিতে সদ্য যোগ দেওয়া চিন্ময় চট্টোপাধ্য়ায় বলে ওঠেন যে, টুটু বসু আর সভাপতি নন, ফলে তিনি স্টেজে বসতে পারবেন না। এই নিয়েই সৃঞ্জয়-চিন্ময়ের হাতাহাতি লেগে যায়। এখান থেকেই যত গণ্ডগোলের সূত্রপাত।
নাম না-করে তোপ অঞ্জনের, বললেন মেম্বার হওয়ার যোগ্যতাও নেই অনেকের
অঞ্জন মিত্র এদিন নাম না-করেই টুটু গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন। বাগানের বর্ষীয়ান প্রশাসনিক কর্তা সাফ বলে দিলেন যে, এই মুহুর্তে ক্লাবের সঙ্গে জড়িত এমন অনেকেই রয়েছেন যাদের সদস্য হওয়ারও নূন্যতম যোগ্যতা নেই।
Follow Us
শেষ ২৪ ঘণ্টায় একটি খবরই ময়দানের উত্তাপ বাড়িয়েছে। শনিবার বার্ষিক সাধারণ সভাকে (এজিএম) কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠা মোহনবাগানকে নিয়ে চর্চা চলছে জোর । ক্লাবের ইতিহাসে এ ঘটনা প্রায় বেনজির বললেই চলে। টুটু বসু বনাম অঞ্জন মিত্র-র লড়াইয়ের রেশ এখনও কাটেনি। রবিবার অর্থাৎ আজও তা অব্যাহত। এদিন এক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ক্লাবের সচিব অঞ্জন মিত্র, ফুটবল সচিব স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় (বাবুন) ও প্রাক্তন ফুটবলার তথা টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য শিশির ঘোষ। ঘটনাচক্রে বাগানের এই তিন পদাধিকারীই হাজিরছিলেন গতকালের এজিএম-এ।
অঞ্জন মিত্র এদিন নাম না-করেই টুটু গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন। বাগানের বর্ষীয়ান প্রশাসনিক কর্তা সাফ বলে দিলেন যে, এই মুহুর্তে ক্লাবের সঙ্গে জড়িত এমন অনেকেই রয়েছেন যাদের সদস্য হওয়ারও নূন্যতম যোগ্যতা নেই। গতকালের প্রসঙ্গে অঞ্জন বাবুর বক্তব্য, “মুষ্টিমেয় ২০ জন মিলেই গতকাল এজিএম-এ অসভ্যতা করেছে। এই নিয়ে কথা বলতে গেলেই আমার তিক্ততা বাড়বে। কালকে যা পরিস্থিতি হয়েছিল তাতে ভেবেছিলাম ক্লাবই ছেড়ে দেব। কিন্তু পরে ভাবলাম ওই কুড়ি জনের অসভ্যতার জন্য আমি কেন ক্লাব ছাড়ব! মেম্বার হওয়ার যোগ্যতাও নেই যাদের তারাও রয়েছে ক্লাবে।” টুটু বসু ও সৃঞ্জয় বসুদের নাম না-করেই বিষোদগার করেন তিনি।” অঞ্জন বাবু এও জানান যে, তিনি যৌথ ভাবেই টুটু বসুদের সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা ফলপ্রসূ হয়নি। তিনি যা করেছেন তা আইনি পথেই করেছেন বলেও দাবি করেন। ভবিষ্য়তেও আইনি পথেই একজিকিউটিভ কমিটির সঙ্গে কথা বলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বলেই জানান অঞ্জন।
আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ মোহনবাগানের এজিএম; ধাক্কাধাক্কি থেকে হাতাহাতি, বাদ গেল না কিছুই
এজিএম-এর ঘটনা আর মনে রাখতে চান না শিশির ঘোষ। তিনি বলছেন, “গতকাল যা হয়েছে তা কোনও ক্লাবের পক্ষেই কাম্য নয়। এই ঘটনায় রীতিমতো কষ্ট পেয়েছি। চেষ্টা করছি রাতটা ভুলে যেতে। আমি চাই কোনও ক্লাবেই যেন এরকম ঘটনা না-ঘটে।’’ শিশিরের সুর ধরেই বাবুন বলছেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা এটা। ২৩ বছর থেকে ক্লাবে আসছি। আমি নিজে থেকে টুটু বসুর জন্য বসার চেয়ার করে দিয়েছিলাম। তাঁকে আর অঞ্জনকে এক করতে চেয়েছিলাম। আমি চাই প্রশাসনে যেই আসুক সেই যেন ক্লাবের জন্য কাজ করে। চিন্ময়ের ওপর চড়াও হওয়া থেকে কল্যাণ চৌবেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া, কোনওটাই মেনে নেওয়া যায় না। আমি এই ঘটনার ধিক্কার জানাচ্ছি।”
গতকালের এজিএম-এ চেয়ারের প্রশ্নটা বারবারই এসেছে। ক্লাবের বাইরে স্টেজ বেঁধেই সভা শুরু হয়েছিল। সেখানে সভাপতির নামাঙ্কিত চেয়ার না-থাকাতে নিচে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল টুটু বসুকে। সেসময়ে মঞ্চে ছিলেন বাবুনই। নিচ থেকে স্টেজে চেয়ার তুলে টুটু বসুকে বসানো হয়। টুটু বসুর অভিযোগ, তিনি ক্লাবের সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও তাঁর জন্য কোনও চেয়ার বরাদ্দ করা হয়নি। অঞ্জন মিত্রের কমিটিতে সদ্য যোগ দেওয়া চিন্ময় চট্টোপাধ্য়ায় বলে ওঠেন যে, টুটু বসু আর সভাপতি নন, ফলে তিনি স্টেজে বসতে পারবেন না। এই নিয়েই সৃঞ্জয়-চিন্ময়ের হাতাহাতি লেগে যায়। এখান থেকেই যত গণ্ডগোলের সূত্রপাত।