Mohun Bagan vs Jamshedpur FC: Tactical Battles, Injury Woes & Coaches’ Plans Before the Semi-Final: লিগ পর্বে স্টিফেন এজে, মহম্মদ উভেয়স, লাজার সিরকোভিচ, আশুতোষ মেহতারা ইস্পাত বাহিনীর রক্ষণ সামলালেও ২৪ ম্যাচে ৪৩ গোল খেয়েছে জামশেদপুর। সেরা ছয়ে থাকা দলগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোল কিন্তু, তারাই হজম করেছে। তাই নকআউট পর্বের প্রথম ম্যাচে দলের কোচ খালিদ জামিল বাঙালি মিডফিল্ডার প্রণয় হালদারকে সেন্টার ব্যাক হিসেবে নামিয়ে দিয়েছেন। প্রণয় দুর্দান্ত খেলে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের খেতাবও জিতে নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবারও প্রণয়কে একই জায়গায় রাখতে পারেন জামশেদপুর কোচ। কারণ, তাঁদের জেমি ম্যাকলারেন, দিমিত্রিয়স পেট্রাটস, জেসন কামিংস, গ্রেগ স্টুয়ার্ট, লিস্টন কোলাসোদের সামলাতে হবে।
গোল দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্য জামশেদপুর তুলনামূলক এগিয়ে। হাভিয়ে হার্নান্ডেজ (৮ গোল), জর্ডন মারে (৬), হাভিয়ে সিভেরিওর (৬) মতো গোলদাতা রয়েছে কোচি খালিদের হাতে। পাশাপাশি আছে, রেই তাচিকাওয়া (৩), মহম্মদ সনন (৩), স্টিফেন এজে-রও (৩) মত গোলের খিদে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো খেলোয়াড়রাও।
আর, সেই কারণেই জামশেদপুর প্রচুর গোলের সুযোগও তৈরি করেছে। এ পর্যন্ত তারা ২৪৯টি গোলের সুযোগ তৈরি করেছে। তালিকায় অবশ্য তাদের ওপরেই রয়েছে মোহনবাগান (২৫৮)। তাই বৃহস্পতিবার জেআরডি টাটা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে ঘন ঘন আক্রমণের ঝড় ওঠার সম্ভাবনা আছে।
মোহনবাগান কোচ বলেছেন
মোহনবাগন কোচ হোসে মোলিনা ম্যাচের আগে সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, 'সামনের তিনটে ম্যাচ আমাদের জন্য খুবই কঠিন। আমাদের ফোকাস ঠিক রাখতে হবে। বৃহস্পতিবারের ম্যাচ জিততে পারলেই ফাইনালে নজর দেব। বেশ কিছু ফুটবলারের চোট আছে। অনেকে জাতীয় দল থেকে ফিরে এসেছে। আমরা কাপ জিততে চাই। এজন্য প্রস্তুত। লিগ জিতে অবশ্যই খুশি। কিন্তু, মনে রাখতে হবে যে সেটা এখন অতীত। ফুটবলারদের আরও লড়াই করতে হবে। নকআউট ট্রফি জেতার জন্য ১০০ শতাংশ দিতে হবে। জামশেদপুরের কোচ খালিদ জামিলকে আমি খুবই সম্মান করি। ও দারুণ কাজ করে যাচ্ছে। নিজেকে প্রমাণ করছে। আমরা নিজেদের কাজে মন দিতে চাই।'
সমস্যা চোট-আঘাত
মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের আক্রমণ বিভাগের অন্যতম স্তম্ভ মনবীর সিং ও মাঝমাঠের ভরসা আপুইয়া চোটে কাবু। গত কয়েক দিন ঠিকমতো অনুশীলন করতে পারেননি দুই তারকা। সেভাবেই কৌশল ও পরিকল্পনা করে রাখতে হয়েছে কোচ হোসে মোলিনাকে।
মনবীরের জায়গায় সহাল আব্দুল সামাদ ও আপুইয়ার জায়গায় দীপক টাঙরি তাঁর তাস। লিগ পর্বেও বারার চোট-আঘাত, সাসপেনশনের কারণে নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়দের পায়নি জায়ান্ট। কিন্তু পরিবর্তরা কোচকে হতাশ করেননি। এ বারেও হয়তো করবেন না।
আরও পড়ুন- সেমিফাইনালের মহারণ! টানটান উত্তেজনা, মোহনবাগান মুখোমুখি জামশেদপুরের, কে পৌঁছবে ফাইনালে?
মোহনবাগান শেষ এক ডজন ম্যাচে অপরাজিত (৯টি জয়, ৩টি ড্র) থেকে লিগের সেরা দল হিসেবে সরাসরি সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। তবে জামশেদপুরের রাস্তাটা মসৃণ ছিল না। নক আউটের প্রথম ম্যাচে নর্থইস্টকে ২-০-য় হারানোর আগে কিন্তু লিগের শেষ তিন ম্যাচ তারা জিততে পারেনি। শেষ ম্যাচে তো চেন্নাইনের কাছে ২-৫ গোলে হেরেওছে। তার আগে ওডিশা এফসি-র কাছেও হেরেছে ২-৩ গোলে। কেরালা ব্লাস্টার্সের সঙ্গে ১-১ ড্র করেছে। শেষ ১২ ম্যাচের মধ্যে তারা মাত্র চারটিতে জয় পেয়েছে। পাঁচটিতে হেরেছে। ফলে নক আউটের ম্যাচে নর্থইস্টই কিন্তু জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ফেভারিট হিসেবে নেমেছিল।