দিন রাতের টেস্টে এবার আম্পায়ারিং বিতর্ক মাথাচাড়া দিল। ইংল্যান্ড শিবির অনফিল্ড আম্পায়ারদের 'পারফরম্যান্স' নিয়ে সরাসরি অভিযোগ জানাল ম্যাচ রেফারি জাভাগল শ্রীনাথের কাছে। অধিনায়ক জো রুট এবং হেড কোচ ক্রিস সিলভারউড বলে দিয়েছেন, আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আরো 'ধারাবাহিক' হতে হবে।
ইংল্যান্ড শিবির অনফিল্ড আম্পায়ার শামসুদ্দিনের জোড়া সিদ্ধান্তে অখুশি। বুধবার থেকে শুরু হওয়া দিন রাতের টেস্টে বিতর্কের সূত্রপাত ভারত তৃতীয় সেশনে ব্যাট করতে নামার সময়। ভারতীয় ইনিংসের ১২তম ওভারে শুভমান গিলের লো স্লিপের ক্যাচের আবেদনে যেমন সাড়া দেননি আম্পায়ার, তেমন দিনের শেষের দিকে রোহিত শর্মার একটি স্ট্যাম্পিংয়েও আবেদনও নাকচ করে দেন আম্পায়ার শামসুদ্দিন।
প্রথম দিনের ম্যাচের শেষেই ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের তরফে প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়, ইংল্যান্ডের ক্যাপ্টেন এবং হেড কোচ ম্যাচ রেফারি জাভাগল শ্রীনাথের সঙ্গে একপ্রস্থ কথা বলেন। "মাঠের মধ্যে আম্পায়াররা যে প্রতিকূলতার মধ্যে কাজ করেন তা স্বীকার করে নিয়েই ক্যাপ্টেন এবং কোচ শ্রদ্ধার সঙ্গে জানিয়েছেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আরো ধারাবাহিকতা চাই। ম্যাচ রেফারিও জানিয়েছেন, ক্যাপ্টেন আম্পায়ারদের নিয়ে সঠিক প্রশ্নই তুলেছেন।" জানানো হয়েছে সেই বিবৃতিতে।
আরো পড়ুন: মোতেরায় মোদী! অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রীর ঢালাও প্রশংসা করেই মন খারাপ সৌরভের
গিলের আউটের ক্ষেত্রে যেমন একাধিক এঙ্গেল থেকে ক্যাচিং পজিশন দেখার পরে নাকচ করে দেওয়া হয়, তেমন ঘটেনি রোহিতের ক্ষেত্রে। স্ট্যাম্পিংয়ের জন্য তৃতীয় আম্পায়ার তড়িঘড়ি করে দেখেই নট আউট ঘোষণা করে দেন। এমনই অভিযোগ তুলছে ইংল্যান্ড শিবির। রোহিতের ঘটনার সময় জো রুট সরাসরি আম্পায়ার নীতিন মেননকে বলেন, "আমরা আরো ধারাবাহিকতা চাই।"
গিলের আবেদনের ক্ষেত্রে মনে হয়েছিল বল হয়ত স্টোকস তালুবন্দি করার আগে সামান্য হলেও মাটি স্পর্শ করেছিল। তবে রোহিতের বিষয়টি গুরুতর। বেল ফেলে দেওয়ার সময় মনে হয় হালকাভাবে রোহিতের পা বাতাসে ছিল।
ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম ইনিংসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী জ্যাক ক্রলি সাংবাদিক সম্মেলনে বলে দিয়েছেন, "আমাদের ব্যাটিংয়ের সময় জ্যাক লিচের লো ক্যাচের সময় ওঁরা পাঁচ-ছটি এঙ্গেল থেকে দেখে সিদ্ধান্ত নিল। আমাদের ফিল্ডিংয়ের সময় আবার কেবলমাত্র একটা এঙ্গেল থেকেই দেখা হল। এখানেই আসল হতাশা। আমরা বলছি না ওটা আউট ছিল। তবে আরো নিখুঁতভাবে না দেখাটা হতাশাজনক।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন